উদাসীন স্পর্ধা ঝুলে আছে তোমার শরীরে ,
বর্ষার কোদালে মেঘের মত ।
আমি ছুঁয়ে দিলে জল হয়ে ঝরে যাবে অবনীর পর।
আমি কি কোনদিন তোমাকে স্পর্শ করেছি ?
চাঁদনী রাতে তাজমহলের গায়ে আমি কি জ্যোৎস্নায় জাফরি এঁকেছি?
মুগ্ধ নয়নে বারবার শুধু জোনাকী এনে তোমার কুন্তলে গুজেছি।
কতবার তোমার জমানো অভিমানের বরফ
একটুকরো উত্তপ্ত ভালবাসা দিয়ে জল করে দিয়েছি।
কোনোদিন বিচ্ছেদের পাহাড় কে আসতে দেইনি।
একটা দ্বীপ কিনব তোমার জন্যে,
যেখানে শুধু কবিতা দিয়ে সাজানো।
হরিণেরা উচ্চকিত কন্ঠে মন্ত্র জপবে তোমার,
চারটে নদী সবসময়ই পা ধুইয়ে প্রস্তুতি নেবে গান শোনাবার।
তোমার বাঁশির এক একটা রাগে একটা কবিতা,
চাঁদ সূর্যের উদয় অস্ত হবে তোমার হাতের ইশারা।
একে একে সব কৃত্রিমতা খুলে জ্যোৎস্নার নির্জনে
তোমার সব উত্তম সত্ত্বা অর্পণ করো।
আমার লুকোনো বিষে নীল হয়ে শুয়ে থাকি চিরজীবনে।