যেতে যেতে যদি পথটাই হারায়
দুঃশাসনের গভীর জঙ্গলে,
তখন কে বা কারা উৎসাহের দরিয়ায়
পা বাড়িয়ে দক্ষিণের বারান্দায়?
কিছুতেই অবুঝ মননে অতলস্পর্শী মনোভাবে
খোলে না সহজ দরজাখানা-
বেঁকে যাওয়া শিরদাঁড়ায় কেমন করে
আলোর প্রবেশ নিরুপদ্রবে?
ভাবি, যতই ভাবি গ্ৰন্থিগুলো আরো আঁটোসাঁটো আরো দৃঢ়তায় আঁকড়ে ধরে দুনিয়া,
তখন মুক্তির সোপানগুলো ধীরে ধীরে
দূর থেকে সুদূরের গোপন কন্দরে,
সেখানে মরুদ্যানের হাতছানি লক্ষ্য করেও
হতাশায় ঢেউগুলো আছড়ে পড়ে!
অন্তরের অন্দরে আরেক মানুষের কুম্ভকর্ণের নিদ্রা ছেড়ে
জাগ্ৰত হবার তোড়জোড় হোক না শুরু।