বেহুলা কবিতা লোহার বাসর জাগে
নীল–কবিতা কেউটের হিংস্র ছোবলে
ঘাট থেকে ঘাটে ভেলায় চড়ে ভাসে
লখীন্দরের শব্দ কংকাল
অন্ধ নিয়তির পথে হাঁটে
কবিতা আজ আক্রান্ত
পরে আছে হিমঘরে
বেহুঁশ প্রবল জ্বরে
খুবলে খাওয়া রক্তাক্ত শব্দ, ভাষা
কাঁটার মুকুট পরে নগ্ন পদে হাঁটছে
কবিতা তুমি কী জানো?
তোমার পুরনো দেওয়ালে
শ্যাওলা জমেছে
মরচে পরা দরজা জানলা
হাট করে খোলা রয়েছে
ঠিকঠাক চুন সুড়কী যদি দিতে পারি
মেরামতে পাবো হয়তো
এক আধটা কবিতার অ্যালবাম
রংচটা ঝাপসা পুরনো কিছু…
আজকাল কবিতার গাছ বড্ড নেড়া
ছাল বাকল উঠা পাতাহীন
কাঠি কাঠি অসহ্য ভাঙ্গা শব্দের ডালে ভরা
শুষ্ক, নীরস, কাঁটাঝোপ আর বল্মীকে গেছে ঢেকে
জল বাতাস রৌদ্র লাগে না তাতে
অশনি সংকেত—
গদ্যে পদ্যে পরীক্ষা সংহারে
ভুমিকা যায় হারিয়ে উপসংহারের খোঁজে
কেঁদে কেঁদে বলে, শুনছো তোমরা
বাঁচাও আমাকে
চারদিকে অশরীরীরা ফিসফিস করে কিছু বলে
একলা রেখো না আমাকে
পাশে এসে দাঁড়াও
মুক্তির পথ দাও খুলে…..
কবিতা হোক সাবলীল কেশর রাঙা
যেন পিকাসোর আঁকা ছবি
বুকে ফুটুক গুচ্ছ গুচ্ছ রঙ্গীন ফুল
“থাকুক মাধুর্যের বিস্তীর্ন আয়োজন”
প্রত্যয়ের ক্ষয়হীন আশা…