হঠাৎ স্বামী দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে যাওয়াতে সংসারে চরম দুর্দিন–
সঞ্চিত পুঁজি প্রায় তলানিতে ঠেকেছে,
হঠাৎ মৌসুমী চিত্রকরের সান্নিধ্যে আসে–
যার দৃষ্টিতে কোনো লোলুপতা নেই,
অনবরত নতুন সৃষ্টিতে মাতোয়ারা উনি–
মডেল হলে যে প্রচুর টাকা–
চিত্রকরের তুলির টানে খুলতে থাকে সকল লজ্জা
মৌসুমী যখন লজ্জায় চোখ দুটি ঢেকে রেখেছিল-
চিত্রকর শেষ তুলির টান দিয়ে উল্লাসে বলেছিল ইউরেকা!!
মৌসুমী মুখ তুলে বলেছিল পিটের কাটা দাগটা দেবেন না
চিত্রকর বলেছিল সাবাস নারী!
তোমার সকল চিহ্ন গোপন রাখব মা–
ভোরের আলোয় ছুটছে মৌসুমী–
বরের ঘুম ভাঙলে জুটবে চুলের মুটি আর অকথ্য অত্যাচার–
আবার হয়ত ফুটে উঠবে নুতন কোনো যতি চিহ্ন।
মৌসুমী আজ খুঁজে পেয়েছে বেঁচে থাকার ঠিকানা–
তুলির টানে রোজ নুতন করে লজ্জা বিসর্জিত
লালসাহীন চিত্রকর একমনে তুলির টান দিয়ে চলে।।
সৎ উপায়ে যে যার রুজি রোজগারে ব্যস্ত।।
কিন্তু পঙ্গু স্বামী শুধু দেহে পঙ্গু ছিল না—
তার মনটাও ছিল পঙ্গু
গালি গালাজ করে ক্লান্ত হয়ে ঘুমের ওষুধ বেশ কটা খেয়ে চিরতরে চলে গেল
সারা বাড়িতে লোকে লোকারণ্য
সবার ধীক্কার একটা পঙ্গুকে মরতে হলো কেন??
বদমাশ মহিলার বিচার চায়!
হায় রে সমাজ সাংবাদিকতা করতে গিয়ে অনেক দেখলাম!
তোরা তো বেঁচে থাকতে পঙ্গু লোকটাকে প্রতিবন্ধী হিসেবে সাহায্য তো করলি না
এখন তোদের বিচার চায় নিরীহ নিষ্পাপ বৌটার।
আসল কারণ উদঘাটন না করে
তোরা চিৎকার করতে জানিস।।