আমাকে ফাল্গুন দাও- ফুলে ফুলে রঙিন প্রজাপতি
উড়ে উড়ে রঙ মেখে সুবাস ছড়াবে। রঙিলা মধুমতী
মধুপান করে যাবে। আমি হবো রাজ রাজেন্দ্রানী,
অনুগত অনুচর অহরহ স্তবগানে মাতাবে বনানী!
আমাকে দাহ দাও- খরতপ্ত সঘন-গহন নিঃশ্বাসে
জীর্ণ যা কিছু সব পুড়ে হবে ছারখার, সাজবো নতুন বাসে।
আমাকে শ্রাবন দাও- বুকেনিয়ে বারিভার অদৃশ্য আকাশের মতো
সারাদিন ঝরঝর-পুত্রহারা জননীর অশ্রু অবিরত,
ভেজা ভেজা মাটি হবো, বীজ বপনের জন্যে যথাযথ-
নিষিদ্ধ দিনের পরে হবো ফের পুত্রবতী রমনীর মতো।
আমাকে হেমন্ত দাও-ফসলের ভারে ভারে স্নেহময়ী জননী হই যদি,
বক্ষের ক্ষরিত সুধা ঢেলে ঢেলে হয়ে যাবো স্রোতস্বিনী নদী।
তারপর কুয়াশাঘেরা শীতের নিভৃত নিশীথ রাতে-
তোমার বুকের উষ্ণতায় গুটিসুটি ঘুমাবো নিশ্চিন্তে।
আমাকে যৌবন দাও- প্রাণবেগে ছুটে যাবো, দিক থেকে যাবো দিগন্তে
পূর্ণ প্রাণে ভরে দেবো, ভাসাবো দশদিশি ঠুমরির দুরন্ত সঙ্গীতে।।