মনে পরে সেই ছোট্টবেলার, কতো পুরানো কথা –
এক মা তার তিন কন্যার, মুখে হাসি, মনেতে বড়ই ব্যথা ।
বাপটি তাদের অসুখে ভুগে, রেখে চলে গেল অকালে ,
তিন সন্তান নিয়ে মাতা, পরে গেল অগাধ জলে ।
কান্নাকাটির পরে গেল রোল, এই বুঝি যায় যায় ,
কেউ বা বলে সহানুভূতির বোল, কেউ জানায় অভিপ্রায় ।
তিন কন্যার মাতা দুঃখিনী, শক্ত করে ধরে হাল ,
বাঁচতে গেলে লড়তে হবে, নইলে জীবন হবে বেহাল ।
সালঙ্কারা দুর্গা যে আজ, হয়েছে পথের ভিখারী ,
অস্তগামী সূর্য কে সে, বুকেতে নেয় আঁকড়ি।
সংসারের এই সমরাঙ্গনে, হতে হবে তাকে জয়ী ,
সন্তানের জন্যে বাঁচতে হবে তাকে, সে তো মমতাময়ী ।
সময় তরঙ্গ উল্টো পথে বয়, সামনে ভরা যে পাঁক ,
তারি মাঝ হতে শতদল তোলে , জীবন যতই হোক ঘুরপাক ।
জীবন তরী বইতে হবে তাকে, সামনে যে মহা গিরি – খাদ ,
ঘরের দুর্গা শক্ত হাতে ধরি, লয়ে দেবী দূর্গার আশীর্বাদ ।
উদয় – অস্ত পরিশ্রমে, নেই কোনো তার বিলাপ ,
জীবন দুঃখিনী মাতা সেতো, ভুলতে হবে তাকে শোক তাপ ।
দশভুজা আজ হয়েছে সে, সন্তানেরে রাখে দুধে ভাতে ,
মন্দিরে গিয়ে পুজি যে মাকে, সেতো থাকে আমাদেরি সাথে ।
মর্ত্যলোকের ঘরে ঘরে আজ, আছে কতো মহামায়া ,
দশভুজা রূপী মানবী সে তো, দেবী দূর্গারই ছায়া ।