হঠাৎ চোখে পড়ে শ্যামলা বর্ণের পাগলি,
চোখদুটি বেশ জ্বলজ্বল –সূর্যের ন্যায় l
পেটের ভিতর একটা ভ্রূণ,
ক্রমশ বেড়ে চলেছে.. পিতৃ পরিচয় হীন
জানা নেই,কোন নরপিশাচের কামনার শিকার l
এখানে দীর্ঘনিঃশ্বাসেরা নব শিশুর স্বপ্ন দেখছে,
যদিও জর্জরিত হয়ে যাচ্ছে নাভিশ্বাস !
তলপেটে কেমন কুণ্ডলী পেকে আছে-ভয়ঙ্কর লাল,
ভ্রূণের ভিতর আরো রক্তাক্ত লাল l
রক্ত!রক্ত!রক্ত ঝরছে ভীষণ !
স্তনের বোটায় দুধ-গড়িয়ে পড়ে সিক্ত জীর্ণ কাপড়,
রক্তে সিক্ত নাভি!তবুও ক্রমশ-বড়ো হতে থাকে ভ্রূণ
গর্ভধারিণী পাগলিনী প্রসব ব্যথায় কাতর l
দীর্ঘ নয় মাস অপেক্ষা…প্রসব বেদনা বেড়ে চলে,
হটাৎ অসহ্য যন্ত্রনা-একদিন, সূর্য প্রায় ডুবন্ত….
কিছু আগাছা ও শৈবালের মাঝে জন্মায়!
জীবন্ত রক্তপিন্ড এক শিশু রূপে..
পাগলী মা রক্ত নহরে সাজে…
সে শুধু পাগলি নয়…আজ সে এক অসহায় “মা “l