জীবনের ধারাপাত কেমন যেন বদলে গেছে
চেনা নামতা গুলোও আর কিছুতেই মনে পড়ে না,
এক্কেবারে ডিটারজেন্টে ধোঁয়া কোরা কাগজ যেন
মনখানা।
এক অদ্ভুত পরিস্থিতি এখন আমার চারপাশে
বৃত্তাকারে,
অথচ ,বেশ সুন্দর ছিমছাম একটা কল্পনার
বাগান ছিলো বুকের মাঝে,ভারী সুন্দর!
শৌখিন মন সেখানে শব্দের চাষ করতো ,
রকমারি বাহারি শব্দেরা আবেগে দোল খেতো
আমি আহ্লাদে শব্দের গালে চুমো এঁকে দিতাম।
আচমকা ধেয়ে এলো রাশ রাশ কালো মেঘ !
এক পলকে ঘুটঘুটে আঁধার সব,
কোত্থেকে ছুটে এলো ঝড়! সেকি তার মাতন!
দৈত্যের মতো সো- সো-শব্দে আছড়ে পড়লো
পড়িমরি আমি তখন সবকিছু সামলাতে নাজেহাল।
গোল্লাছুটের মতো শব্দেরা এলোপাথাড়ি দিশেহারা।
ভালোবাসা যতোই গালভরা সোহাগী হোকনা কেন
ঘুণপোকাদের আঁতুরঘর কিন্তু ওই ভালোবাসার গতরেই।
ভাবনাগুলো নিপাটভাঁজে নিশ্চিন্তে সুখনিদ্রায় তখন
সজোরে ঝাঁকুনি খেতেই চোখ কচলে হতবিহ্বল,
তা,কি আর করা যাবে! ভবিতব্য কি খন্ডানো যায়!
সময়ের ফরমান! কে জানে, তাই হবে হয়তো
এতো মেপে জোখে কি আর জীবন চলে?
অঙ্কে তো চিরকাল ঢেঁড়স ছিলাম একেবারে,
ওই টায়েটোয়ে মুখস্ত করে পাশ করে যাওয়া।
শুধু ,জীবনের পরীক্ষাতেই ফাঁক থেকে গেলো!
সময় কখনোই কারো জন্য থেমে থাকেনা।
ঠিক তেমনি , যতোক্ষণ শ্বাস ততোক্ষণ জীবন।
আর এই জন্যেই তো নতুন করে কেচেগন্ডুষ।
কোরাকাগজ মনখানার জন্যেই নাহয় হোক।
মুখ থুবড়ে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে থাকা শব্দেরা
আমাকে দেখেই গা’ ঝাড়া দিয়ে দাঁড়ালো
চোখের জলে ধুয়ে নিলাম পরম মমতা ভরে
কাটুক নাহয় অবশিষ্ট জীবনটা কবিতায়!