জিজ্ঞাসা (ষষ্ঠ ভাগ)
সেদিন আর মায়ার কোথাও যাওয়া হলো না। রাতে মৃন্ময় ফিরলে মৃন্ময়ের মা বাবা সব কথা জানায় তাঁকে। মায়া রান্না ঘরে রাতের খাবার তৈরিতে ব্যস্ত। মৃন্ময় তাঁকে ডাক দেয়: মায়া , মায়া এদিকে এসো তোমার সাথে কথা আছে। মায়া ছুটে আসে রান্না ঘর থেকে। আমাকে ডাকছিলে?
মৃন্ময় উত্তর দেয়: মনে তো হলো তোমাকেই ডাকছিলাম এই ঘরে এই নামে আর কেউ আছে বলে কি তোমার মনে হয়? মায়া মৃন্ময় কথার কোনো উত্তর না দিয়ে বললো, বলো তাড়াতাড়ি রান্নাঘরে সব কাজ পড়ে আছে মেয়ের খাবার সময় ও হয়ে গেছে। মৃন্ময় মায়াকে মেজাজ দেখিয়ে বলে: থামো তুমি সারাদিন কি কাজ তুমি করো সে আমার খুব ভালো মতো জানা আছে বেশি কাজ দেখিয়ো না বুজলে? তুমি আজ মেয়েকে বকলে কেনো?
!! মায়া উত্তর দেয়: বোকলাম সে কথা যখন শুনেছো কেনো বোকলাম সেই কথাটা কেউ বললো না তোমাকে!!
দেখো মায়া সারাদিনের খাটনির পর তোমার আঁকাবাঁকা কথা শোনার মন আমার নেই যেটা জানতে চাইছি সেটার পরিষ্কার করে উত্তর দাও।
কোন কথাটা আঁকাবাঁকা বলতো? সারাদিন তোমাদের জন্য পরিশ্রম করেও শুনতে হয় আমি কিছুই করি না মেয়েটা আমার ও সে কোনো অন্যায় করলে তাঁকে শাসন করার অধিকার আমার নেই? দিন দিন অবাধ্য আর জেদি হয়ে যাচ্ছে ও। আমাকে জব্দ করতে গিয়ে তোমরা যে ওর ক্ষতি করে দিচ্ছো সেটা কি একবার ও বুঝতে পারছো না তোমরা?
মায়ার এই কথা শুনে মৃন্ময়ের মা হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বলে দেখ দেখ শোন তোর বউয়ের কথা আমরা মেয়ের ক্ষতি করছি, হে ভগবান এই কথা শোনার আগে তুমি আমায় তুলে নিলে না কেনো? ভালোবাসার এই প্রতিদান তো পাওয়ারই ছিল আমাদের। মৃন্ময় রক্ত চক্ষু করে মায়ার দিকে এগিয়ে গেলো: শোন তোকে আজ একটা কথা পরিষ্কার করে বলে রাখি কান খুলে শুনে রাখ তুই, আমার মা মেয়ের চোখের জল কিন্তু আমি সহ্য করবো না। ইচ্ছে করছে মেরে ঘর থেকে বের করে দিতে নেহাত এই পাড়ায় একটা reputation আছে নাহলে তোকে আজ বুঝিয়ে দিতাম। তোর যেখানে খুশি চলে যা গিয়ে বাঁচা আমাদের কিন্তু আমার মেয়েকে এই ঘর থেকে কোথাও নিবি তাহলে সেটা তোর জীবনের শেষ দিন হবে। জীবনটা শেষ করে দিলো আমার। কোথাকার কে দিদা নিজের মা হলেও বুঝতাম তার জন্য তোর দরোদ উথলে উঠছে তাই না? মরুক বুড়ি।
এবার আর মায়া চুপ করে থাকতে পারলো না। সে ও চিৎকার করে উত্তর দেয়: মুখ সামলে কথা বলো, আমাকে এতদিন যা ইচ্ছে হয়েছে বলেছো আমি তোমাদের কোনো কথার কোনোদিন প্রতিবাদ করিনি কিন্তু আমার মা সম্পর্কে একটা বাজে কথা তোমরা বলবে না। তোমরা মানুষ? নিজেদের ভদ্রলোক বলে পরিচয় দাও লজ্জা করে না তোমাদের? ছোটলোক ইতর।
মৃন্ময় রাগে গর্জে উঠে বলে কি যত বড়ো মুখ নয় ততো বড়ো কথা আমরা ছোটলোক ইতর এতো সাহস তোর? সেদিন মৃন্ময় মায়ার গায়ে হাত তোলে। রাতে সবাই খেয়ে শুয়ে পড়লে মায়া একা বারান্দায় দাঁড়িয়ে। চোখের থেকে না চাইতেও যেনো জল নেমে আসছে তার। কি দোষ করেছিল সে তাঁকে সেই ছোটো থেকে এমন যন্ত্রণার জীবন দিলো ভগবান। এসব নানান ভাবনায় যখন সে ব্যতিব্যস্ত হঠাৎ ঘরের ফোনটা বেজে ওঠে। ফোন বাজার সাথে সাথে ঘোড় কাটে মায়ার!!!! এতো রাতে ফোন মার কিছু হলো নাতো? দৌড়ে গিয়ে ফোন ধরতে যায় সে। কিন্তু মৃন্ময় মায়াকে ফোন ধরতে না দিয়ে সে নিজেই ধরে ফোনটা।
হ্যালো, ফোনের ওপার থেকে একটা পুরুষ কণ্ঠ ভেসে আসে কে মৃন্ময় বলছো? আজ্ঞে হ্যাঁ বলছি। মৃন্ময় আমি মায়ার মামু বলছি মুখার্জী দিদার ছেলে। জানি রাত অনেকটা কিন্তু ফোন না করে আর কোনো রাস্তা ছিল না মায়া কি জেগে আছে?
মায়া জেগে আছে কিন্তু এতো রাতে মায়াকে কি দরকার আপনি আমাকে বলুন আমি বলে দেবো। দরকারটা খুবই জরুরি তাই: সে যাই হোক তুমি একটু মায়াকে জানিয়ে দাও প্লিজ ওর মাকে hospitalized করতে হচ্ছে আমরা ডক্টর কল করেছিলাম কিন্তু উনি বাড়িতে রাখার রিস্ক নিতে চাইলেন না। Help Life care এ অ্যাডমিট করার ব্যাবস্থা করা হয়েছে আমরা এখন সেখানেই যাচ্ছি তোমরা সেখানেই চলে আসো মায়ার কথা বারবার বলছেন ও যেনো দেরী না করে।
আজ্ঞে ক্ষমা করবেন এতো রাতে মায়া কোথাও যাবে না সকাল হলে তখন দেখা যাবে।
তুমি এটা কি বলছো ? তুমি বুঝতে পারছো না ওর মা অসুস্থ ওর কথা বার বার বলছেন।
আপনি বাংলা কথা বুঝতে পারেন না মায়া এখন এই বাড়ির বউ আর এই বাড়িতে কিছু নিয়ম আছে এতো রাতে বাড়ির বউ কোথাও যাবে না সকাল হলে তখন ভেবে দেখবো এখন রাখছি, বলে ফোনটা কেটে দেয় মৃন্ময়। মায়া দাঁড়িয়ে ছিল মৃন্ময়ের পাশেই। কি গো কি হয়েছে? মার কিছু হয়েছে তাই না কি হলো বলো। মৃন্ময় খুব শান্ত হয়ে বলে তোমার মাকে hospitalized করতে হয়েছে ডক্টর এসেছিল। আমি এখনই যাবো, এতো শান্ত হয়ে কি করে বলে দিলে তুমি আমি যাবো না? আমি যাবো।
মৃন্ময় চেঁচিয়ে বলে: না, যাবে না এতো রাতে তোমার কোথাও যাওয়া হবে না সকাল হলে একসাথে গিয়ে মোরো বুঝেছ। অগত্যা অত রাতে একা মায়ার গিয়ে ওঠা সম্ভব হলো না। কিন্তু সকাল হতেই মৃন্ময়ের থেকে হসপিটালের নাম জেনে সে সোজা চলে যায় সেখানে। সেখানে মুখার্জী দিদার ছেলেকে দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মায়া: মামু আমায় ক্ষমা করো আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু ওরা আমাকে।
থাম থাম আমি সব জানি তুই কাঁদিস না। মামু মা, মা কেমন আছে আমি মাকে দেখবো।
তোকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে লাভ নেই মায়া ডক্টর কোনো ভরসা দিতে পারছেন না চেষ্টা করছে। তুই বরং গিয়ে একবার দেখে আয় সারাক্ষণ তোর কথাই বলছে হ্যারে মৃন্ময় এলো না তোর সাথে? ওর কথা বাদ দাও মামু ওরা মানুষ না।
আজ প্রায় সাত দিন মায়ার মায়ের শরীরের অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি নেই বরং আরো সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে। মায়া এখন কিছুদিন ওর মায়ের ফ্ল্যাটে। সেদিন হসপিটাল থেকে ফেরবার সময় মুখার্জী দিদা জানতে চায়: তুই এখানে আছিস প্রায় সাতদিন এরপর বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবি তো মা? তোর মামাকে ও ফোন করেছিলো তোর মামা বললো অফিসে ছুটি পেতে সময় লাগবে পেলেই আসবে কিন্তু আমি ভাবছি তোর কথা।
ছাড়ো না মুখার্জী দিদা ওরা আর কি করবে আবার কিছুদিন জ্বালাবে বেশি রাগ হলে মারবে কথাটা বলেই চুপ করে যায় মায়া। মুখার্জী গিন্নী সবই বুজলো যে মারের হাত থেকে ও যে অভাগীর মুক্তি নেই মুখে আর কিছুই বললো না।
প্রায় দশ দিনের লড়াই শেষে জীবনের সব খেলা সাঙ্গ হলো। ছেলেকে ফোন করে জানানো হলে সে জানিয়ে দেয় তার ছুটি মঞ্জুর হয়ে গিয়েছিল কিন্তু এখন আর সে আসবে না মাই যখন নেই তখন আর, মায়ের শেষকৃত্য সে ওখানেই করে নেবে। মায়া ও জানিয়েছিল বাড়িতে কিন্তু সেখান থেকে ও কেউ আসেনি। মায়া তার করণীয় সমস্ত কাজ করে বাড়ি ফিরছিল কিন্তু সে গুনাক্ষরেও বুঝতে পারেনি মাত্র কয়েকটা দিনের মধ্যে তার ঘর আজ আর তার নেই।
মায়া ঘরে ঢোকার সাথে সাথেই সবাই অবাক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাঁকিয়ে রইলো যেনো ওর ফিরে আসার কোনো কথাই ছিল না ও যেনো এই ঘরে খুব অবাঞ্ছিত কেউ একজন। মায়া প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারলো না। তারপর মায়ার চোখ পড়লো ওর ঘরের দিকে মৃন্ময়ের সাথে একজন অন্য মহিলা ওরই ঘরে। মায়া বিয়ের এতো বছর পরেও এঁকে কোনোদিন দেখেনি তাই বুঝে উঠতে পারছে না মহিলা ওদের কোনো আত্মীয়া কিনা? ও সোজা গিয়ে মৃন্ময়কে প্রশ্ন করে: উনি কে মৃন্ময় ওনাকে তো ঠিক চিন্তে পারলাম না, আগে তো কখনো এই বাড়িতে দেখিনি তোমাদের আত্মীয় কেউ?
মৃন্ময় খুব রুঢ় ভাবে উত্তর দেয়: এতদিন বাদে বাড়ি ফিরে কৈফিয়ত চাইছো? তোমার অনুমতি নিয়ে এখন এই বাড়িতে সবাই আসবে বুঝি?
সে কথা আমি কখন বললাম আমি তো শুধু জানতে চাইছি। সেই অধিকার টুকুও কি আমার নেই? তোমরা আমার এত বড় দুর্যোগে ও কেউ আমার পাশে গিয়ে দাঁড়ালে না। এতগুলো বছরে ও আমি কি এইটুকু আশা করতে পারি না তোমাদের থেকে। পুতুল পুতুল কোথায় ওকে দেখছি না।
এতদিন বাদে তোমার মনে পড়েছে তাহলে যে তোমার একটা মেয়ে ও আছে? আমরা তো ভুলতে বসেছিলাম যে আদৌ আর মনে আছে কিনা?
কি করতাম মৃন্ময় আমি জানি আমি এখানে থেকে মার কাজ করতে গেলে তোমরা তার অনুমতি আমায় দিতে না আর আমি মেয়ে হয়ে তো কিছুই পারলাম না করতে এমনকি খবর পেয়ে সময়মতো হসপিটাল পর্যন্ত যাবার ও অনুমতি টুকুও না। এটা ছাড়া আর কি করার ছিল বলো?
ওদের কথার মধ্যেই হঠাৎ মৃন্ময়ের মা এসে ওদের কথার মাঝে মৃন্ময়কে বলে তুই থাম ওর সাথে যা কথা বলার আমি বলছি: শোনো মায়া তোমাকে বৌমা সম্বোধন করতে আমার আর রুচিতে আসে না তাই নাম করেই বললাম, তোমার আর এই বাড়িতে কোনো জায়গা হবে না। এতদিন তুমি কোথায় ছিলে কি করেছো আমরা কিছুই জানি না তোমার মতো এমন নষ্ট মেয়েকে নিয়ে আমার ছেলে আর সংসার করবে না। তুমি জানতে চাইছিলে না এই মেয়েটি কে? ও রোশনি। আমাদের হবু বৌমা মৃন্ময়ের হবু স্ত্রী। শোনো আর দুই একদিনের মধ্যে তুমি ডিভোর্সের নোটিশ পেয়ে যাবে কিন্তু তার আগে এখন নিজের সব জিনিষ গুছিয়ে নিয়ে চলে যাও এতদিন যেখানে ছিলে এই বাড়িতে তোমার আর কোনো জায়গা হবে না।
মায়ার পায়ের নীচ থেকে যেনো হঠাৎ মাটিটা কেউ কেড়ে নিলো!! সারা পৃথিবীটা যেনো অন্ধকার ওর কাছে নির্বাক নিশ্চুপ দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে থাকে সে। স্তম্ভিত ফিরতে মৃন্ময়ের দিকে ছুটে গিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে!!! এসব কি বলছে মা? তুমি বলো এসব মিথ্যে আমি কোথায় যাবো তোমাদের ছেড়ে আমার কে আছে? তুমি বলো। আমি যে কোনোদিন তোমাদের নিজের থেকে আলাদা করে ভাবিনি কতো খারাপ ব্যাবহার করেছো কতো কষ্ট দিয়েছো কোনোদিন প্রতিবাদ করিনি। এমন করো না আমার সাথে আমি একা একটা মেয়ে ওইটুকু একটা মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাবো? আর কেনই বা যাবো? তুমি আমার স্বামী আমার সাথে তুমি পারো না এটা করতে।
মৃন্ময় এক ঝটকায় মায়াকে নিজের থেকে সরিয়ে দেয়।
শোনো এসব নাকে কান্না কেঁদে কোনো লাভ হবে না তার চেয়ে মা যা বললো তাই করো, আর মেয়েকে নিয়ে যাবে মানে? মেয়ে কোথাও যাবে না ও আমার মেয়ে এই বাড়ির মেয়ে যাবে তুমি বুজলে? যাও ঘরে সব গুছিয়ে নাও তোমাকে আজ রাতটুকু সময় দিলাম। কাল সকালে যেনো এই বাড়িতে তোমায় দেখতে না হয়।
কিন্তু আমি কোথায় যাবো? কার কাছে যাবো? কেনো করছো তোমরা এটা কি দোষ আমার?
এতদিন যেখানে ছিলে সেখানে যাবে। তোমার এই বাড়িতে আর জায়গা হওয়া সম্ভব না।
বাড়ির সকলকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে মায়া কিন্তু একটা সময় সে ও বুঝেই যায় তার কোনো কথাতেই এদের মতো পাষাণ হৃদয় গলবার নয়। এই সম্পর্ক যে আজকের নয় এমন একটা সুযোগই যে এরা সবাই মিলে এতদিন খুঁজেছে সেটা তার আর বুঝতে বাকি থাকে না।
বেশ আমি চলে যাবো!!!!! কিন্তু আমি একা নয় আমার সাথে আমার মেয়ে ও যাবে। আমি যেভাবে থাকবো সে আমার সাথেই থাকবে যদি এই শর্তে রাজি থাকো তাহলে আমি কাল সকালেই চলে যাবো এই বাড়ি ছেড়ে। মেয়েকে সে কোলে তুলে নিতে গেলে ওই এক রত্তি মেয়ে তাকে বলে: ” ছেড়ে দাও ছেড়ে দাও আমায়, তুমি আমার মাম্মাম না নতুন আণ্টি আমার মাম্মাম তুমি পচা ছাড়ো ছাড়ো আমায়”। বলে সে ছুটে গিয়ে মৃণ্ময়ের কোলে উঠে যায়।
আশা করি তুমি তোমার উত্তর পেয়ে গেছো? আর কিছু জানার নেই তোমার।
আজ প্রায় ছয় মাস ওদের ডিভোর্স টাও হয়ে গেছে। মায়া এখন একাই থাকে ফ্ল্যাটে। বহুবার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েছে কিন্তু না সেই বাড়ির লোক ও ওকে তা করতে দেয়নি মেয়ে নিজে কখনো চায়নি মায়ের কাছে আসতে। নিজের জীবন জীবিকা চালানোর জন্য সে একটা ছোট্ট মন্তেস্যারি স্কুলে পড়ায় হয়তো ওই ছোটো ছোটো বাচ্চাদের মধ্যেই নিজের মেয়েকে খোঁজে সে মাতৃত্বের আস্বাদ নিতে চায় আর কয়েকটা টিউশন একার জীবন চলে যাচ্ছে তার। মায়ার মামা ও আর কোনো খোঁজ খবর রাখেনি। তার খবর আজ আর কেউ জানে না। মুখার্জী দিদা অনেকবার বলেছিল মায়াকে ওদের বিরুদ্ধে কেস ফাইল করতে মায়া রাজি হয়নি সে আর সে কোনো ঝামেলায় যেতে চায় না। এই ভাবেই বেশ আরো কয়েকটা বছর কাটে একে একে আজ অনেকেই অতীত যে মুখার্জী দিদা সবকিছুর মধ্যে ও মায়াকে অনেকটাই সাহস জুগিয়েছিল আগলে রেখেছিল সে ও আজ নেই। দিনের পর দিন সে একা এবং অসহায় হয়ে পড়তে থাকে। মেয়ে ও অনেক বড় হয়েছে নানা দিকের খবরে জানতে পারে মেয়ের কথা। ফোন করলে কথা বলতে চাইলে আগের মতোই মেয়ে কথা বলে না আর যদি ও কখনো বলে তাহলে তাঁর কাছ থেকে অপমান ছাড়া কিছুই জোটে না মায়ার।
চোখে জল এক কঠিন বাস্তব