জিজ্ঞাসা (পঞ্চম ভাগ)
পরের দিন ভোরবেলা উঠে মায়া ঘরের সব কাজ সেরে সকালের জল খাবারের ব্যাবস্থা করে মাকে গিয়ে ডাকে।
” মা ও মা ওঠো ওঠো দেখো চা নিয়ে এসেছি। একসাথে খাবো। সব কমপ্লিট বুজলে? যাও এবার চোখে মুখে জল দিয়ে চা খেয়ে সব সেরে নাও। ডাক্তার কাকু কিন্তু বলেছেন দেরী যেনো না হয়। নাও ওঠো এবার”।
মায়া মাকে নিয়ে সময় মতোই পৌঁছে গেলো ডাক্তারের চেম্বারে। ডাক্তার বাবু ভালো করে চেকআপ করে বললেন: ” এমনি তো তেমন কোনো সমস্যা নেই কিন্তু ওষুধগুলো এভাবে বাদ দিলে হবে না। তাহলে অনেক সমস্যা বাড়তে পারে তাই সেগুলো নিয়মিত খেতে হবে একদম সময় করে খেতে হবে”। মায়া সব ভালো করে বুঝে নিয়ে সেখান থেকে মাকে নিয়ে সোজা বাড়ি। তারপর মার খাওয়া দাওয়ার সব ব্যাবস্থা করে ওষুধ পত্র সব গুছিয়ে দিয়ে দেখিয়ে দিল সব ভালো করে একটা সাদা কাগজে লিখে দিল যাতে কোনো ভুল না হয়।
তখন প্রায় দুপুর ১টা বাজে। মায়া বললো: এখন আমি তাহলে আসি মা? আমি সময় করে এসে আবার তোমায় দেখে যাবো তুমি চিন্তা করো না।
মলিনা দেবী বললো: আসি কিরে? সেই সকাল থেকে উঠে সব করলি আর এখন খাওয়া দাওয়া না করেই চলে যাবি? না না, তোকে না খাইয়ে কোথাও যেতে দিচ্ছি না আমি। একসাথে খাবো নাহলে আমি খাবোই না। বাচ্চাদের মতো জেদ করে মলিনা দেবী। মলিনা দেবীর কাণ্ড দেখে হাঁসতে হাঁসতে মায়া বলে একদম বাচ্চাদের মতো জেদ করছো তুমি। আচ্ছা ঠিক আছে আমি খাওয়া দাওয়া করে তবেই যাবো।
মলিনা দেবী বলে তাহলে যা মা একবার তোর মুখার্জী দিদার সাথে ও দেখা করে আয়। আসার তো সুযোগ পাস না এসেছিলি দেখা করলি না জানলে কষ্ট পাবে। আচ্ছা গিয়ে দেখা করে আসবো আগে চলো দেখি খেয়ে নিয়ে ওষুধ গুলো খেয়ে নাও।
খাওয়া দাওয়া সেরে মায়া গেলো মুখার্জী দিদার সাথে দেখা করতে। কিছু কথাবার্তার পর বললো: আমি আসি দিদা মার কাছে একটু থেকে আবার তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে হবে। কালকে এসেছিলাম থাকার তো কোনো প্ল্যান ছিল না বাড়িতে কাউকে বলে ও আসা হয়নি। মার শরীরের অবস্থা দেখে ওকে শুধু ফোন করে জানিয়েছিলাম। আসি। মুখার্জী দিদার থেকে অনুমতি নিতে মায়া বেরিয়ে আসে।
তারপর মার পাশে শুয়ে এটা ওটা গল্প করতে করতে কখন যে চোখ লেগে গেছিলো মায়া বুঝতে ও পারেনি। যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন প্রায় সন্ধ্যা ৬ টা বাজে। তাড়াতাড়ি উঠে চা বসায় তারপর একসাথে চা খেয়ে মার কাছ থেকে বিদায় নেয় মায়া।
মা, আজ তাহলে আসি আবার আসবো সুযোগ করে তুমি কিন্তু ওষুধগুলো খেতে ভুলে যেয়ো না। তুমি সুস্থ না থাকলে আমি তখন কি করবো বলতো? তুমি নিজের খেয়াল রেখো আমি আসবো যখনই সময় পাবো, একটু ও দেরী হলে এমন সব কথা বলে…… যাক সে কথা তুমি সাবধানে থেকো মা আসি আমি। তাড়াতাড়ি করে বেরিয়ে আসে মায়া। বেরিয়েই একটা রিকশা পেয়ে যেতেই ওর বেশ সুবিধা হয়। বাড়ি যখন ঢোকে তখন এই ৮ হবে। বাড়িতে পৌঁছে কলিং বেল বাজাতেই শ্বশুর মশাই এসে দরজা খুলে দেন। মায়া ঘরে ঢুকে নিজের ঘরের দিকে যেতেই ওর শ্বাশুড়ি মা পিছন থেকে বলে: ” এই যে জমিদারের মেয়ে এলেন বুঝি? তা বলছিলাম যে কোথাও যাবার আগে অনুমতি নেবার কোনো দরকার মনে করছ না আজকাল দেখছি। বাড়িতে কি তোমার রাখা চাকর আছে যে তোমার স্বামী অফিস বেরোবে তার জন্য সব করে রাখবে? এই বাড়িতে আমার মত না নিয়ে কেউ কোথাও যায় না জানা নেই সেটা তোমার?
এমনিতে মায়া ওনার মুখের উপর খুব কিছু উত্তর করে না কারণ জানে সেটা করে কোনো লাভ নেই মৃন্ময় তার মাকেই সমর্থন করবে। কিন্তু আর থাকতে না পেরে সে তার শাশুড়িকে বললো: কোথাও তো যাই নি মা, আমি আমার মার কাছে গেছিলাম আর সত্যি থেকে যাবার কোনো প্ল্যান ছিলো না আমার। গিয়ে দেখি মার শরীরটা ভালো নেই ডাক্তার কাকুকেও পাওয়া গেলো না রাতে। তাই বাধ্য হয়ে রাতটা থেকে সব গুছিয়ে দিয়ে এলাম। আপনারা তো জানেন মার আমি ছাড়া দেখে রাখার মত কেউ নেই। ওই ভাবে কি করে ফেলে রেখে আসতাম বলুনতো? তাছাড়া আমি তো ওকে জানিয়ে দিয়েছিলাম সব। ও আপনাদের কিছু জানায়নি?
মায়ার শাশুড়ি যেনো দ্বিগুণ মেজাজ দেখিয়ে বললো: ওকে জানিয়ে দিয়েছি মানে কি? তুমি কি তোমার স্বামীকে এই ঘরের অভিভাবক মনে করেছো? আর কি এতো মা মা করো? মা যদি সত্যি থাকতো তাও বুঝতাম, যতসব আদিখ্যেতা, শোনো তোমাকে পরিষ্কার করে বলে রাখি এরপর এমন ঘটলে সেদিন এই বাড়িতে শেষদিন হবে বুঝিয়ে দিলাম। ।
মায়া বুজলো এদের কাছে মানবিকতা আশা করাই ভুল এরা তেমন ধরনের মানুষই নন। তাই আর কথা না বাড়িয়ে নিজের ঘরে ঢুকে গেলো। ভালোমন্দে কেটে যাচ্ছিল তাঁর। মায়ার যখন বিয়ে হয় তখন ও সে গ্রাজুয়েট নয় বিয়ের পর সেটা কমপ্লিট করে আরো এগোনোর ইচ্ছে ছিলো কিন্তু শ্বশুর বাড়ির আপত্তিতে সেটা আর করে ওঠা হয়নি। মলিনা দেবী মৃন্ময়কে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল মা বাবার যেটাতে মত নেই সেটাতৈ সে কিছু করতে পারবে না। তাছাড়া ওদের অনেকদিন বিয়ে হয়ে গেছে এখন একটা ছেলেমেয়ে হওয়া দরকারি এটাই তার বাবা মার ইচ্ছে। অগত্যা মায়ার আর পড়াশুনা করা হয়ে ওঠেনি। বছর ঘুরে মায়ার কোল আলো করে তাদের প্রথম কন্যা সন্তান জন্ম নিল। সবাই খুশি মৃন্ময় ও। মলিনা দেবী চেয়েছিলেন বাচ্চা হওয়ার পর মায়া কিছুদিন তার কাছেই থাকুক কিন্তু সেটাতে মায়ার শ্বশুর বাড়ির কেউ রাজি না হওয়ায় মায়াকে তার শশুরবাড়িতেই যেতে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই মায়াকে ওরা খুবই কম তার মার কাছে যেতে দিত। মায়া প্রতিবাদ করতে গেলেও কিছু লাভ হতো না তাতে করে অশান্তি আরো বাড়তো তাই সে ও খুব অনিচ্ছায় কষ্টে সব মুখ বুজে মেনে নেয়। দেখতে দেখতে প্রায় ৭ মাস বয়স হলো মেয়ের। বাড়িতে সবাই আদর করে পুতুল ডাকে সত্যি পুতুলের মতোই একদম ছোট্টবেলার মায়া।
মুখে ভাত মিটে গেলে মায়া অনেক বুঝিয়ে মাত্র দুই দিনের জন্য তার মার কাছে যাবার অনুমতি পায়। দুদিনে যেনো মায়া পুরো জীবন টা বেচেঁ নিল। কথা ছিলো পরের দিন সন্ধ্যবেলায় মৃন্ময় এসে মেয়ে বউকে নিয়ে যাবে। পরেরদিন মায়াকে চলে যেতে হয়েছিল বটে। কিন্তু নিতে এসেছিল মায়ার শশুর বলেছিল মৃন্ময় অফিসের কাজে আটকে গেছে তাই সে আসতে পারবে না। মায়া মেয়ে রেখেই মাঝে মাঝে এসে মলিনা দেবীকে দেখে যায়। যা যা দরকার সব করে দিয়ে যায়। দুটো দিন যে থাকবে তার কোনো উপায় নেই। কেউ বোঝে না এমনকি মৃন্ময় ও না। দেখতে দেখতে মেয়ে ও বড় হচ্ছে মলিনা দেবী এখন মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়ে কিন্তু আগে ঘরের কাজের অছিলায় আর এখন মেয়ের অছিলায় মায়াকে তারা থাকতে দেয় না। অগত্যা মলিনা দেবীর অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় মাঝে মাঝে তাকে রাতে থাকার অনুমতি দেয়া হয় কিন্তু শর্ত হলো মেয়েকে নিয়ে যাওয়া যাবে না মেয়ে বাড়িতেই থাকবে। মায়ার মন এতে সায় দেয় না কিন্তু মলিনা দেবীর শরীর এর অবস্থার জন্য তাকে এই শর্ত ও মেনে নিতে হয়।
দেখতে দেখতে মেয়ে ও বড় হচ্ছে কিন্তু মেয়ে ও যেনো ওদের মতোন। মায়াকে সে ঠিক বোঝে না বাবা, দাদু, ঠাম্মি এরা যেনো তার পছন্দের প্রথম সারিতে মাকে তাঁর হলে ও হয় না হলে ও যেনো কোনো সমস্যা নেই। মা তাঁর কাছে অনেকটাই প্রয়োজনের প্রিয়জন নয়।
মায়ার মেয়ের বয়স তখন এই বছর পাঁচ। মলিনা দেবীর শরীর একদমই ভালো যাচ্ছে না। সেদিন মেয়ে স্কুল থেকে ফেরার পর ওর সব গুছিয়ে দিয়ে মায়া মার কাছে যায় মাকে দেখতে। মলিনা দেবী আবদার করে একটা দিনও কি দিদিভাইকে একটু আমার কাছে আনা যায় না? ও যে আমার বড় আদরের শরীর ঠিক থাকলে আমিই যেতাম ওর কাছে কিন্তু এখন আর পারি না রে মা, সময় হয়ে এলো বুঝি। মায়া মাকে জড়িয়ে ধরে এভাবে বোলো না, মা তুমি ছাড়া কর কাছে ছুটে আসবো কাকে বলবো সব। আমার যে কেউ থাকবে না , তোমার কিছু হয়ে গেলে আমি আর বাঁচবো না।
থাম থাম পাগলী ভরা সংসার তোর, আমি ছাড়া কেউ নেই মানে কি? ওতো মিষ্টি একটা মেয়ে, জানিস ছোটো বেলায় একদম তুই এরকম ছিলিস। এখন যেনো কেমন একটা দেখায় তোকে, মনে হয় কতো যন্ত্রণা বুকে বয়ে বেড়াছিস। চোখে মুখে কেমন কালি পড়ে যাচ্ছে তোর ওমন সোনার বরণ সেদিন মুখার্জী গিন্নী ও বলছিলেন তোকে দেখে যেনো চেনা যায় না। কি হয়েছে রে মা ওরা কি খুব খারাপ ব্যাবহার করে তোর সাথে? তুই ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করিস তো? তুই যে আমাদের খুব যত্নের রে।
ওহ্, মা তুমি এতো কেনো ভাবছো বলতো? আমি খুব ভালো আছি। তুমি এসব একদম ভেবো না। আচ্ছা ঠিক আছে আমি মাম্মাকে নিয়ে আসবো তোমার কাছে তাহলে হবে তো? আসলে ওর লেখাপড়া নিয়ে এত চাপ । সে ঠিক আছে আমি তোমায় কথা দিয়ে গেলাম আমি ওকে নিয়ে একটা দিন থেকে যাবো, তাহলে হবে তো? এখন তাহলে আসি আমি।
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর সব কাজ সেরে যখন মায়া শুতে আসে মৃন্ময় করো সাথে ফোনে কথা বলছি মায়াকে দেখে কিছুটা হকচকিয়ে ফোনটা কেটে দেয়।
মায়া জানতে চায়: কি হলো তোমার? আমাকে দেখে ওমন ঘাবড়ে কেনো গেলে? ফোনে কে ছিলো? আমাকে দেখেই কেটে দিলে যে?
মৃন্ময় ধমকের সুরে বলে: তুমি কি আমাকে সন্দেহ করছো? জেরা করছো আমাকে? আর তোমাকে দেখে ভয় কেনো পাবো ফোনই বা কাটতে যাবো কেনো? বলতেটা কি চাইছো?
মায়া আর কথা না বাড়িয়ে বললো: না না আমি কিছু বলতে চাইনি। ভুল দেখেছি হয়তো। আসলে তোমাকে একটা কথা বলার ছিল, প্লিজ রাগ করো না একটু ঠান্ডা মাথায় শুনো!!!
কি এমন কথা যেটা শুনলে মাথা গরম হতে পারে? উত্তর দেয় মৃন্ময়।
কথাটা তেমন কিছুই নয় মৃন্ময় শুধু তোমরা এগুলোকে ইস্যু করো তাই জন্যই বললাম। মা খুব করে মাম্মকে দেখতে চাইছে মার খুব ইচ্ছে মাম্মা একটা দিন গিয়ে ওখানে থাক। তুমি একটু প্লিজ দেখো না কথা দিচ্ছি এমন আবদার আর কোনোদিন করবো না। মার অনেক বয়স হয়েছে শরীর ও তেমন ভালো যায় না। মুখ নীচু করে মায়া বলে: কিবে কি হয়ে যায়। যদি একটু ম্যানেজ করে দিতে।
মৃন্ময় গম্ভীর হয়ে বলে: সবই তো বুজলাম কিন্তু আমার মেয়ে নিজেই সেখানে যেতে পছন্দ করে না। ইনফ্যাক্ট ও তো তোমার সাথেই থাকতে কমফ্রট না । যাই হোক দেখবো আমি বলে। এখন লাইটটা অফ করো খুব টায়ার্ড লাগছে।
পরেরদিন সকালে মৃন্ময় বাড়িতে মা বাবাকে বুঝিয়ে বলে অনিচ্ছাকৃত হলেও তারা রাজি হয়। পুতুল স্কুল থেকে এলে মায়া তাকে বলে: মাম্মা আজ আমরা দিদুনের বাড়ি যাবো, দিদুনের শরীর তো ভালো নেই তাই আমরা যাবো তোমাকে দেখতে চাইছে দিদুন। তুমি যাবে তো আমার সাথে? ছোট্ট মাম্মা তার মায়ের কাছে জানতে চায়: বাপি, দাদু, ঠাম্মু সবাই যাবে?
না, মা কেউ যাবে না। শুধু তুমি আর আমি যাবো।
তখন সে চেঁচিয়ে মাকে জবাব দেয়: তাহলে আমি ও যাবো । তুমি একা যাও তোমার মার কাছে।
আমি যাবো না সেখানে। দিদুন পচা।
মায়া রেগে যায় পুতুলের উপর!!!! একদম চুপ করো। বেশি পাকা হয়ে গেছো কে বলেছে তোমাকে এসব চুপচাপ তৈরী হবে তুমি যা বলবো চুপচাপ শুনবে আজকাল বড্ডো বায়না হয়ে গেছে তোমার তাই না?
ছোট্ট পুতুল মায়ের বকুনি দেওয়ায় জোড়ে কেঁদে ওঠে। পুতুলের কান্নার শব্দে পাশের ঘর থেকে ওর দাদু ঠাম্মি ছুটে এসে জানতে চায়: কি হলো কি বৌমা? ও ওমন করে কাঁদছে কেনো, কি হয়েছে ওর? কি করেছ তুমি ওকে?
আমি ওকে কি করবো মা? আজকাল একদম কথা শোনে না তাই।
পুতুল ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে দাদুকে!!!! দাদুভাই, দাদুভাই মা আমাকে দিদুনের বাড়ি যাওয়া নিয়ে বকেছে। আমি বলেছি আমি যাবো না তাই।
ওওও, তাহলে এই ব্যাপার জবাব দেয় মায়ার শ্বশুর। আজকাল বাপের বাড়ি নিয়ে যাবার জন্য ও মেয়েকে বকাবকি করছো? বেশ ভালো ব্যাপার। আমাদের থেকে সরিয়ে রাখতে চাইছো? বাবু এলে কথাটা জানতে হচ্ছে আজ। পুতুলকে কোলে নিয়ে মায়ার শ্বশুর বলে: তোমাকে কোথাও যেতে হবে না দিদিভাই, তুমি আমাদের কাছেই থাকবে। আর তুমি তোমার ও আজ কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। আগে আজ বাবু আসুক তোমার হিসেব হবে তারপর তুমি যেখানে খুশি সেখানে চলে যাও। কিন্তু মনে রেখো আমাদের নাতনি এই বাড়ি ছেড়ে এক রাতের জন্যেও কোথাও যাবে না। বুঝেছ তুমি? আসুক বাবু আজ তোমার হচ্ছে।
চোখে জল এক কঠিন বাস্তব