জলসাঘর রঙিন থাকবে চিরদিন-
অমলিন অধ্যায়ের পাতায় পাতায় সঞ্চিত হয়ে চলেছে প্রতিটি আসরের জলছবি।
সন্ধ্যার আবেদন সন্ধ্যামালতীর বৃন্তে এঁকে দেয় ফিকে বেগুনি প্রাণের স্পন্দন!
ব্যস্ততার ধারাপাতে মিশে যায় ফুটে ওঠা ভাতের বাষ্প..
ছুটন্ত শরীরে দিনান্তে আবাস গড়ে ক্লান্তির পাতাঝুরি…
শিরদাঁড়ার যন্ত্রণা ছায়ার বেদী খুঁজলে বাঁকা দৃষ্টি ফেলে বটবৃক্ষের পাখি কাঠবিড়ালীরা!
চীৎকার করে ওঠে একদল কাক!
আবশ্যক পথ বাতলে দেয় পরিচিত আবহাওয়া-
শীতার্ত কোরকে মুখ লুকায় স্পর্ধা হারানো ভোরের টগরেরা।
চিরস্থায়ী রোদ জানান দেয় ঘন্টার কাঁটা আরও একবার ছুঁয়ে ফেললো পূর্ণবৃত্তের কানা।
এখুনি গড়াবে বেলা-
সকাল থেকে সন্ধ্যা..!
এক ঋতু থেকে অন্য ঋতু..!
শুধু পাতায় পাতায় ধরা থাকবে বর্ণিল আবেশ-
মুখরিত হবে অন্তহীন সুরধ্বনি-
চিরকালীন এই জলসাঘরের।