আমি জরায়ু ছিলাম, হয়ে গেলাম মানুষ, নাহয়
সেইখানে তো ফুটতে ছিলাম
মায়ের জ্বণে গর্ভাশয়ে ফুলের মতো
অমল ধবল ফুটতে ছিলাম;
ছলছলানো জলের যোনি
ঘূর্ণি মেরে ফুটতে থাকা একলা খুনী
করাতধারে চিড়তে ছিলাম মাংস মায়ের
মাখতে ছিলাম ভিতরব্যাপী বৃত্ত জুড়ে
মায়ের মধুর অন্তঃপুরে।
কোন বিদেশী ডাকাত তাকে ছিঁড়তে গেলো? ছিঁড়তে গেলো?
টাকার মতো রূপোয় ঢাকা রাত্রি তাকে ছিঁড়তে গেলো?
বাবা? নাকি অসম্ভবা জন্ম আমার?
কোন বিদেশী ধর্মাধর্ম ছিঁড়তে গেলো? ছিঁড়তে গেলো?
একলা একা শুয়ে থাকার, গন্ধ মাখার শান্তি অগাধ?
এখন আমার ক্লান্তি বড়, শরীর ভরা জড়োসড়ো,
ঘুণপোকা আর থোকাথোকা ঘামলমূত্র বহন করি,
জখম করি নিজের জন্য জখম করি, জখম করি,
ত্রিশূল বিদ্ধ শুয়ার যেমন, জখম করি নিজের দুয়ার
পিছন পাগল সকল আহার,
আত্মা থেকে অমল বাহার;
ফুলের মতো একলা থাকার গর্ব নিয়ে ফুটতে ছিলাম মায়ের ভ্রূণে,
কি কুক্ষণে ডাকাতে বেনে, ছিঁড়তে গেলো ছিঁড়তে গেলো?