খুব ছোটবেলায় স্কুলে
রচনা লিখতে বলেছিল “তোমার প্রিয় নায়ক”।
বাবা অফিস থেকে ফিরেই ঘচঘচ করে লিখে ফেললেন, সুভাষ বোস।
উড়িষ্যা, কটক,১৮৯৭সাল,রেভেনস কলেজিয়েট,প্রেসিডেন্সি কলেজ,স্কটিশ চার্চ,আই সি এস….
সম্পর্কটা ছিল তখন পরীক্ষার নম্বরের সাথে।
২৩শে জানুয়ারি পাবো বিস্কুট লজেন্স।
কেন উদযাপন করা তাতে উৎসাহ নেই।
সম্পর্কটা তখন রসনার।
দিদিমণি নিয়মিত পড়ে শোনাতেন ,” সুভাষ ঘরে ফেরে নাই “।
তাতেও বিন্দুমাত্র উৎসাহ নেই,
কান খাড়া কখন ছুটির ঘন্টা বাজবে।
দিনক্ষণ মনে নেই,
কোনো এক অলস সময়ে বাবার পুস্তক হাতড়ে পাওয়া,” আমি সুভাষ বলছি”।
এ কোন জগৎ!
যত পড়ছি,তত ডুবছি।
এ মহামানবকেই তো খুঁজছিলাম।
প্রতিটা পৃষ্ঠায় নেশা,
নেশা স্বদেশ প্রেমের,
নেশা রক্ত ঝরানোর।
অভিভূত হয়ে ডুবে আছি।
সুভাষ এলেন,
বললেন ভালোবাসো দেশকে,
দেশের মানুষকে।
বড়ো অসহায় এরা,
কতটুকু করতে পেরেছি জানি না,
ঘরের ছেলে বানিয়ে ফেলেছে আমায়,
এ যে বড়ো প্রাপ্তি,
অনেক কিছু এখনও করা বাকি,
এসো,হাত বাড়াও,দীক্ষিত হও স্বদেশ মন্ত্রে।
আবেগে বলে উঠছি,আমি রাজি নেতাজী।
পাশ থেকে মা বলছে এত রাত অবধি গল্পের বই পড়ছিস,
আর বিড়বিড় করছিস।
ঘুমাতে যা।
সেদিন আর ঘুমাতে পারিনি,
অনেকটা জেনেছি প্রিয় নেতাকে।
আজও জেনে চলেছি,
শেষ কোথায় জানি না।