এখন রোদ জ্বলা প্যাচপ্যেচে ঘামে ভেজা
বাদুড়ের পিঠে চাপা
ক্লান্ত সন্ধ্যা নেমে এল প্রাঙ্গনে
অথচ তোমার মুখে ধূসর পাহাড়ের মাথার উপরে ভেসে থাকা
নীলচে মেঘের বুক চিরে
এক মায়াবী আভা
তোমার দুচোখ জুড়ে সবুজ পাখি র ডানায় মাখানো সোনালী প্রভা
চোখের মণি জুড়ে খেলা করে
একরাশ অবুঝ স্বপ্ন
তোমার শরীরের উদাসীন স্পর্ধা দেখে
ফিরে যায় হরিণের দল।
নির্বিকার জিনিয়া হেঁটে যায়
এক বন্দর থেকে আর এক বন্দরে
পৃথিবী জুড়ে যে ধ্বংসলীলা
নারকীয় হত্যা আর রক্তের খেলা
অন্ধ মানবিকতা
পৃথিবীর সব বিচার সভায়
একে একে কাঠগড়ায় তুলে জিনিয়া শাসায়
ঠুলি পড়ে বসে থাকা বিচারক
জিনিয়াকে দেখে দলবেধে
হেঁটে হেঁটে চলে যায় নদীর মোহনায়।
জিনিয়া কে দেখে সব পাখি ফিরে যায় সঠিক ঠিকানায়
হিংসা ভুলে শ্বাপদেরা মাঠে গিয়ে ঘাস খায়
চলো জিনিয়া আমরা যাই সমুদ্র স্নানে
মাঝরাতে তারাদের দল একে একে নেমে যায় সমুদ্রে
শুধু অবগাহনে
সমুদ্র কে দেবে চলো
এই পৃথিবীর যাবতীয় জঞ্জাল
তারপর ওঁকার ধ্বনিতে বলব
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপী গরিয়সী
তোমার সুরেলা কন্ঠে গেয়ে দেবে গান __
যারা স্বর্গগত তারা এখনো জানে
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
জিনিয়া তোমার গানে
সবাই চিনে নিক নিজ নিজ বাসভূমি।