চিহ্ন যেটা ছিল ওর শরীরে তা জন্মের দাগ
কেন এই দাগ তার সহজ উত্তর আজও পাওনি
অসহায়তা তোমাকে চিহ্নটির কাছে
বারবার তাড়িয়ে নিয়ে যায়
চিহ্ন বা দাগের সিঁড়ি বেয়ে নেমে যেতে যেতে
পা পিছলে পড়ে যাও নিচের ছিপছিপে জলে
জল পেরোবার পর অরূপশূন্যতার ধুসর উপত্যকা
নিঝুম মুহূর্ত আর পোড়োবাড়ি ঘিরে জোনাকির
আলোয় ভেসে যাওয়া ভস্মীভূত শরীর
তোমার দু’চোখের ভেতরও আছে নিরীহ এক নদী
সেই নদীতেও বান ডাকে,খেয়া হয় পারাপার
এপার-ওপার করেও সারাজীবন জন্মদাগের কারণ
আজও তোমার জানাই হল না আর
তবুও ওই চিহ্ন যেটা তা জন্মের দাগ নাকি
জন্মের আদর চিহ্ন,যাই হোক না
ওটা তো তুমি কিছুতেই মুছে দিতে পারবেনা !