১
যিনি চলে গেলেন
তাঁকে ম্লান মুখেই চলে যেতে দিয়েছি ;
সে জন্য আমার ভিতরে কী
কোনো গভীর বেদনা আছে ?
মানুষ নামের এক রকম পাথর,
তাতে আলো পড়ে না
অন্ধকার নড়ে না
কিছুই হয় না . . .
মাঝেমধ্যেই মনে হয়
আয়নার সামনে কেউ দাঁড়ালে
শুধু আয়নাটাই কথা বলে।
কী যে বলে, তা শুনবার মানুষ
আজ আর আমি খুঁজে পাই না।
আমার জন্মভূমি,
আমি অনেক দিন তাঁকে দেখি না
তাঁর কোনো খবর রাখি না।
তিনি কি এখনও কুয়াশার কাঁথা মুড়ি দিয়ে
আগের মতোই নিঃসাড়ে ঘুমিয়ে আছেন ?
আমার ছেলেবেলায়
যেমন তাঁকে দেখেছিলাম,
শীর্ণ দুটি হাত ঘুমের ভেতর কেঁপে কেঁপে উঠছে!
নাকি অনেকক্ষণ ভোর হয়ে গেছে
পাখি ডেকেছে, ফুল ফুটেছে।
তারপর বাঘের মতো এক দুপুর এসে আমার মায়ের
. পাড়া-জ্বালানো ছোট ছেলেটাকে . . .
তার কোন চিহ্নই আর পাওয়া গেল না,
নদীর এপারে না
ওপারে না।
হয়তো সে আমার নিজের ভাই ছিল না,
কিন্তু তাকে আমি কিছুতেই ভুলতে পারি না।
চারদিকে এখন কত ফুল, কত পাখি . . .
হয়তো এভাবেই একদিন দুপুর গড়িয়ে
. বিকেল আসে!
তারপর সন্ধ্যা নামবে, রাত গভীর হবে—
আমি তখন পাথরের মত ঘুমুবো।