ছোটোদের চাঁদ মামা
ছোট বেলায় পড়া গল্প অবলম্বনে লেখা:
শান্তি নগরের রাজার বর্তমানে দুই রানী।বড় রানীর সঙ্গে পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবন। কিন্তু ছেলে মেয়ে নেয়।তাই বংশ রক্ষার জন্য দ্বিতীয় বার বিবাহ করেন। ছোটোরানী ও কোনো সন্তান দিতে পারছেন না।কত কবিরাজ,বৈদ্যর ঔষধ খেয়েও সন্তান হয়না। একদিন মনের দুঃখ নিয়ে বাগানে পায়চারি করছেন রাজা।এক সাধু এসে বলে “হে রাজন!কিসের দুঃখ তব?”
রাজা সাধুর চোখের দিকে তাকাতেই কেমন শরীরটা করে ওঠে।
গড়গড় করে দুঃখের কাহিনী বলে যান।
রাজাকে একটি মন্ত্রপূত প্রজাপতি দিয়ে বলেন….. কাল প্রত্যুষে এই প্রজাপতি আপনাকে.. বিভিন্ন বন পার করে… একটা আম গাছের কাছে নিয়ে যাবে।
দেখবেন ওই গাছে শরৎকালে ও আম ফলে আছে।ওখান থেকে একটি আম নেবেন রাজন। গাছের গোড়ায় দেখবেন অনেক আধমড়া প্রজাপতি।
ওদের কাছে গিয়ে বলবেন তিতলি… পাতালঘরে মোতি নেব…. আমার
রানীদের উপহার দেব… তিতলি আমাকে নিয়ে চলো।
তবে পাতালঘরে কুমীর আছে… তিতলি দের বলবেন মকরদের ঘুম পাড়িয়ে দাও….অবশ্য ই মনে রাখবেন… প্রজাপতিকে ‘তিতলি’ আর কুমীর কে ‘মকর ‘বলবেন।
ভুল হলে কোনো উপকার পাবেন না। তাহলে রাজনের মৃত্যু অনিবার্য।এরপর এক মৎস্য কন্যার দেখা পাবেন।তাকে গিয়ে বলবেন মৎস্য কন্যা তুমি কি সুন্দর।
দুবার বলবেন কারণ আপনার দুই রানী।
দেখবেন মৎস্য কন্যা খিলখিলিয়ে হেসে দুটি মুক্ত দেবেন।
কাজ হয়ে গেলে …এরপর তিতলি বাইরে নিয়ে আসলে বলবেন… একজন তিতলি এখানে থেকে…. বাকিরা গাছের গোড়ায় চলে যাও।তাপর তিতলির সাহায্যে রাজমহলে ফিরে দুই রানীকে একটি আম ভাগ করেখেতে বলবেন।আর রানীদের মুক্ত উপহার দেবেন।
পরদিন রাজা চুপিচুপি রাজমহল থেকে বেরিয়ে প্রজাপতির সাহাষ্যে আমবনে যান। একটি মাত্র আম নিয়ে… তিতলি দের সাহায্য নিয়ে পাতাল পুরী গিয়ে মুক্ত আনেন।সাধুর নির্দেশ মতো সব কাজ ভক্তি ভাবে করে রানীদের ডেকে আম ও মুক্ত দেন।
বড় রানি অখুশি হয়ে মুক্তটা তাচ্ছিল্য ভাবে রেখে দেন।ওই মুক্ত গড়িয়ে মৎস্য কন্যার কাছে চলে যায়। ছোটো রানী রাতারাতি স্যাকরা দিয়ে হাতের আংটি বানান।আমটা বড় রানি একা একাখেয়ে নেন। ছোটো রানী আম চাইলে আমের এঁটো বাটি চুষতে বলেন। অগত্যা চুষেন। চোখের জলে রাত কাটান ছোট রানী।কারণ হিংসুটে বড় রানী আম দেয় নি।
পরদিন রাজন স্বপ্নে দৈববাণী শোনেন রাজন ছোট রানী র কোল জুড়ে রাজপুত্র এসেছে।বড় রানী হিংসুটে ও পাপী ওর বাচ্চা হবে না।
রাজা হিংসুটে বড় রানীকে তাড়িয়ে দেন আর ছোটরানী রাজপুত্র নিয়ে রাজার সাথে সংসার করে।