সব শব্দগুলো লিখবার জন্য শব্দ হয়নি
সব হিসেবগুলো হিসেবের জন্য জন্মায়নি,
সব কথাগুলো বলবার জন্য ঠোঁটের ওপর ভেসে ওঠে নি
সব অনুভূতির চারাগুলোতে নাড়া দিলেও তা বৃক্ষ হয়ে ওঠেনি,
সব স্মৃতির মায়া গুলো প্রেম হতে পারেনি।
স্বপ্নের সব গল্পগুলো স্বপ্ন হয়ে আসেনি
কবির কলমে সব ভাবনা কবিতা হয়ে ভাসেনি,
আকাশের সব রং আকাশী হতে পারেনি
তবু সাত-রঙা রামধনু হতে কোন রং খসে পড়ে নি,
বহুদূর হতে ভেসে আসা সব সুর গান হতে পারেনি।
ডানাওয়ালা সকল পাখি শেখেনি উড়বার কৌশল
কচি পল্লবে পবনে কথা হয় বিরল
প্রকৃতির সব মায়ায় সাজানো নাটকীয় রমণী
পশুদের মৃত্যুতেও কখনো কখনো ওঠে কেঁপে মানবের ধমনী।
সব মিছিলের শেষে থাকা জনতা–
ন্যায্যতার দাবীতে ডুবে গিয়েও হতে পারেনি নেতা,
সকল সভায় হয়না সালিশি হতে পারে নালিশ;
বিচারকের আসনে বসে থাকা ব্যক্তিত্ব করে যায় বক্তব্যের পালিশ।
এই কবিতায় কতিপয় মানুষ যদি ঘিরে ধরে আমারে
আমি শত সহস্রবার মাথা ঠুঁকিয়া সম্মান জানাই তাঁহারে,
সব নক্ষত্রের ঠিকানা আকাশের গায় নয়
কিছু নক্ষত্র এই মাটিতে গড়াগড়ি খায়,
লক্ষ্মী পেঁচার গায়ে লক্ষ্মীর ছাপ আছে তা যায় না বোঝা সহজে
অলক্ষ্যে আছে বসে পাখিদের জুটি এই বিকেল সাজে।