“ভাগ্যচক্রে এমন ভাবেই ঘুরছে কালের চাকা,
আওয়াজ আমার পায়না তো কেউ গিন্নি চোপায় ঢাকা।
নরম মেজাজ দেখেই বিয়ে মালাবদল করে,
শ্বশুর বাড়ির কর্ত্রীরূপে ভোল পাল্টালো পরে।
ওহে গিন্নি! থামো দেখি, চোপা কেন করো,
পাড়া পড়শি হাসে কেমন আওয়াজ যখন ধরো।
ছেলেমেয়ে শিখবে চোপা তোমায় দেখে দেখে,
সামাল দিতে পারবে নাগো গরম মেজাজ রেখে।
কালে দিনে জবাব পাবে ছেলের বউয়ের থেকে,
মুখের উপর জবাব দেবে ভারী গলায় হেঁকে।
শ্বশুর ভক্তি দেখতে পাবে ঠাণ্ডা মানুষ বলে,
তখন যেন দোষ ধরো না রাগের গর্জন তলে।
কটা দিন আর বাঁচবো বলো সামলে তবে চলি,
পতি পত্নীর সম্পর্কতে মিষ্টি করেই বলি।
চোখটি বড় করছো কেন? কি; অপরাধ হলো,
উদারমনা হও দেখি তাই, হৃদি দুয়ার খোলো।
কর্কশ বাজনা বাজলো জোরে বিশেষণের পালা,
কানে তুলো গুঁজে এবার হলেম কানে কালা।
ওরে বাবা, পালাই এবার, ক্রোধে গিন্নি খেপা,
মলম লাগবে মাথায় ব্যথা চলবে খানিক লেপা।