বর্ষা ভারী মানিনী ,ঠিক তোমার মতো।
আগুনে রোদ্দুর যতোটাই জ্বালিয়ে খাক করে দিক না,
আকাশর পাঁচিল বেয়ে ঝুমুর ঝুমুর নূপুর পায়ে বর্ষা যখন নেমে আসে- আহ্ সেকি প্রশান্তি!
বরষার স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় ভালোবাসা মাখা!
অবশ্য,বরষার ও কিন্তু অভিমান আছে,তাই সহজে নামতে চায়না।
ঠিক, অভিমানে তোমার গোলাপী গালদুটো লুচির মতো ফুলে উঠার মতোই
আর ,তোমার অভিমানী মুখ আমি সইতে পারিনে,মন খালাসী পেয়ে বসে।
অথচ,কি আশ্চর্য!তোমার চোখে বর্ষা এলে আমার বুকের চাতালে শব্দেরা মাদল বাজায়,
শব্দেরা উন্মুখ আগ্রহে কবিতার অলঙ্কারে সাজে।
বর্ষার সোহাগী ছোঁয়া পেতে সবাই উন্মুখ থাকে,
বরষার ধারাপাতে প্রকৃতি সরসা সুফলা অপরূপা,
বর্ষা প্রেমে অনুরাগী কবি মন সৃজনে তন্ময়।
বর্ষাগীতি,বর্ষামঙ্গল,বর্ষাভিসার কত কাব্যের বাহার!
বর্ষা এলে সুখে ঝলমল ফসলের মাঠে চাষির মুখ।
ভালবাসি,বড্ড ভালবাসি বর্ষাকে- তোমাকে,
সোহাগিনী তুমি যে আমার, তাইতো তোমার চোখে বর্ষার ছায়া দেখলে কেমন সব শুন্য মনে হয় জানো?
এই মেয়ে,তুমিই তো আমার প্রেরণা গো।
জানো,বরষার রিমিঝিমি তানে আমার বুকের ভেতর উথাল পাথাল করে,
আবেগী ভাবনার শব্দগুলো ভিজে একসা,
আর আমি সেই নরম তুলতুলে শব্দগুলোকে নিয়ে কবিতার প্রতিমা গড়ে চলি নিবিড় তন্ময়তায়।
তোমার চোখে বর্ষা নামলে তাইতো আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরি বাহুপাশে,
আর,টুপটাপ করে ঝরে পড়া সেই চোখের জলে
আমার কবিতাগুলো সিক্ত হয় বুকের ভাঁজে,সে যে কি দারুণ সুখানুভূতি!