চুয়াচন্দন – পর্ব ৬
পরামর্শ স্থির করিতে অপরাহ্ন গড়াইয়া গেল। যে সকল ছাত্র টোলে পড়িতে আসিল, নিমাই পণ্ডিত তাহাদের ফিরাইয়া দিলেন।
সংকল্প স্থির করিয়া নিমাই বলিলেন, “এ ছাড়া আর তো কোনও উপায় দেখি না। তৃতীয় ব্যক্তিকে দলে টানতে ভয় করে; কথাটা জানাজানি হয়ে যদি মাধবের কানে ওঠে, তাহলে আর কোনও ভরসা থাকবে না।”
চন্দনদাস জিজ্ঞাসা করিল, “এ দেশের মাঝি-মাল্লাদের বিশ্বাস করা যেতে পারে?”
“অন্য ব্যাপারে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু যে ব্যাপারে মাধব আছে, তাতে কাউকে বিশ্বাস করা চলে না। ঘুণাক্ষরে আমাদের মতলব টের পেলে তারা আমাদেরকেই মাধবের হাতে ধরিয়ে দেবে।”
“তাহলে—“
নিমাই হাসিয়া বলিলেন, “হ্যাঁ, মাঝি-মাল্লার কাজ আমাকেই করতে হবে। কাণভট্টের আশীর্বাদ দেখছি এরি মধ্যে ফলতে আরম্ভ করেছে।”
চন্দনদাস বলিল, “চুয়াকে আমি খবর দেব। শেষ রাত্রির দিকে পাইকরা ঘুমিয়ে পড়বে—সেই উপযুক্ত সময়। কি বলেন?”
“হ্যাঁ, তুমি তোমার নৌকা পাঠিয়ে দিয়ে বড় বুদ্ধিমানের কাজ করেছ। মাধব নিশ্চিন্ত থাকবে, হয়তো রাত্রিতে চুয়ার বাড়িতে পাহারা না থাকতে পারে।”
“অতটা ভরসা করি না। যা হোক, দেখা যাক।”