পূজনীয় বাবা ও মা!
কেমন আছো শুনি?
নিত্য মনে পড়ে যে গো
বুকে ব্যথার ধ্বনি।
দুখসায়রে হাবুডুবু
ছটফটায় গো প্রাণে,
জুড়াতে যে দুঃখ আমার
খুঁজে বেড়াই ঘ্রাণে।
বুকে মাগো! অথৈ সাগর
তোমরা অচিন ঘর,
চিরকাল যে স্নেহের হাতটি
ছিল মাথার পর।
চোখে আমার বিশ্ব আঁধার হাহাকার যে মনে,
কেঁদে যদি হাল্কা হতাম
স্বস্তি থাকতো সনে।
ভাঙ্গছি আমি,ভাঙ্গছে গো মন, বিদীর্ণ বুক খানা,
কোথায় গেলে শান্তি পাবো
তাইতো জানি না।
চোখের পাতায় ঘুম নামেনা,
ভয়ের ছায়া পাতে,
রাত কাটালে দিন কাটেনা
নেই যে তোমরা সাথে।
বিধিলিপি মন্দ আমার
তোমরা গেলে চলে,
সেবা যত্ন হয়নি তেমন
সময়-স্বল্প বলে।
বুকখানা যে তূষের মতন
ধিকি ধিকি পুড়ে,
জন্মান্তরে নিও কোলে
তোমার স্নেহের ক্রোড়ে।
জানো বাবা!জানো মাগো!
ব্যথায় যখন ভাসি,
মনের দুয়ার খুলেীস্মৃতি
পশরা মেলে রাশি।
কখন হাসি ,কখন কাঁদি
দেখি ছবির মেলা,
ওইতো আমার শাপলা-শালুক মিষ্টি মেয়ে বেলা।
হাত বাড়িয়ে ধরতে গেলেই -গোল্লাছুটের মতো,
ফুড়ুৎ করে য়ায় পালিয়ে –
অবাক বিস্ময় কতো !ু
আজ কে আমার জীবন যেগো বিপন্নতায় ভরে
লিখছি চিঠি দাওনা সাড়া
একটু সময় করে।