চাহিদা পূরণ – পর্ব ৭
জোজোকে স্কুল বাসে তুলে দিয়ে কিছু সবজি নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে সুমেধা,রান্নার দিদি এসে গেছে দেখে নিশ্চিন্ত হয়। নিজের ঘরে এসে মোবাইলে নেট অন করতেই অনেকগুলো ম্যাসেজ, অফিসের ম্যাসেজগুলো দেখে নেয়,যে নতুন নাম্বার থেকে পুরাতন পিছুটান , আকীর্ণ সুখ না ক্ষণিকের দূর্বলতা ভাবার আগেই হাত চলে যায় সেই নাম্বারটিতে, ছোট ছোট অনেক মনের কথা, টুকরো স্মৃতি বিজড়িত আবেগি এক তরফা সংলাপ, অগত্যা সুমেধা লেখে সুপ্রভাত। অপরপ্রান্ত থেকে ভিডিও কল, কলটা রিসিভ না করে সুমেধা টেক্সট করে তোমার জন্য আমার কোনো কষ্ট বা ক্ষোভ নেই তদ্ভব, আমি এখন একজন সম্পূর্ণ সংসারি মানুষ, তুমি ও আশা করি সেটলড, এইভাবে বিরক্ত করো না , ভগবানের ইচ্ছা বা ভাগ্য, তবে আমি নিজের জীবনে সুখী। টাইপ করে নেট অফ করে দেয় সুমেধা, অফিসের জন্য রেডি হয়ে বেরিয়ে আসে,ওলা বুক করে দাঁড়িয়ে আছে এমন সময় একটা বাইক প্রায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে বেরিয়ে যায়, হাতের কনুইয়ে চোট লাগে, অন্যদিকে গাড়ি এসে দাঁড়ায়,গাড়ির ড্রাইভারকে সুমেধা বলে এক মিনিট ওয়েট করতে হবে দাদা আমি হাতে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে আসছি। মেডিক্যাল সেন্টার থেকে ক্রেপ ব্যান্ডেজ লাগিয়ে গাড়িতে রওনা দেয় সুমেধা। অফিসে লেট না হতে হতে বেঁচে যায়, রিক্তা বলে কি করে হলো সুমেধা দি? সুমেধা (দীর্ঘশ্বাস ফেলে): একটা বাইক প্রায় ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে যায়, একটু থেমে বলে হয়তো আমি একটু অন্যমনস্ক ছিলাম, রিক্তার মোবাইল বেজে ওঠে, মোবাইলের দিকে তাকিয়ে রিক্তার মুখটা যেন আরক্ত হয়ে ওঠে,একটু হেসে টেক কেয়ার বলে ফোন হাতে বেরিয়ে যায়। সুমেধা নিজের ডেস্কে গিয়ে বসে।