চাহিদা পূরণ – পর্ব ৪
রাতে খাওয়া হয়ে গেলে সুমেধা শাশুড়ি মাকে বলে রবিবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো। শাশুড়ি মা বলেন কিন্তু গোমতী ঐ দিন ছুটি নেবে বলছিল, সুমেধা: অন্য কোনো দিন ছুটি নিতে বলো,যদি একান্তই না আসে তবে জোজোকে সঙ্গে নিয়ে যাবো। নিশা দেবী বলেন সেই ভালো,খোকার আসতে যখন দেরি হবে তখন রবিবার যাওয়াই ভালো। সুমেধা: হুম, কাল একটু তাড়াতাড়ি বেরোবা, অফিসের কিছু দরকারী ফাইল কমপ্লিট করতে হবে, তোমার কোনো ওষুধ লাগবে? তবে অর্ডার দিয়ে দেবো। হঠাৎ কলিং বেল বেজে ওঠে। সুমেধা বলে দশটা বেজে গেছে এখন কে এলো? নিশা দেবী বলেন দেখে খুলবে। সুমেধা দরজার কাছে গিয়ে বলে কে? কোনো উত্তর নেই। দরজা খুলে দেখে একটা ফুলের তোড়া, সাথে একটা ছোট্ট কার্ডে লেখা sorry … সুমেধা বেশ অবাক হয়ে যায়,নীশা দেবী বলেন ফুল কে পাঠালো? সুমেধার ফোনের কথা মনে পড়ে যায়। আস্তে আস্তে বলে ওঠে কিছু না, তোমার ছেলে ফুল পাঠিয়েছে। নীশা দেবী বলেন দেখেছ এতো ব্যস্ততার মধ্যেও তোমার খেয়াল রাখছে তোমার, অনেক ভাগ্যবতী যে এমন বর পেয়েছ। সুমেধা হেসে বলে দুর্ভাগ্য কখনো তো বলিনি। ফুলগুলো টেবিলে রেখে জোজোকে বলে ঠাকুমণিকে গুডনাইট বলে দাও। জোজোকে নিয়ে নিজের ঘরে চলে আসে।