চাহিদা পূরণ – পর্ব ৩১
বেশ কিছুটা তাড়াতাড়ি অফিসে পৌঁছে দেখে রিক্তা বসে আছে। রিক্তাকে দেখে সুমেধা হেসে বলে,বাহ আজ আগে পৌঁছে গেছিস, এখনো কেউ আসে নি,তুই কদিন ছিলিস না, ভালো লাগছিল না। কিন্তু রিক্তার মুখটা কেমন যেন ফ্যাকাসে হয়ে আছে দেখে, সুমেধা বলে কি হয়েছে তোর, শরীর ঠিক আছে তো? রিক্তা আস্তে আস্তে বলে হ্যাঁ, ঠিক আছে। সুমেধা নিজের ডেস্কে একটা ফাইল খুলে কাজ শুরু করতে যাবে, রিক্তা ওর কাছে উঠে আসে, সুমেধার হাতটা ধরে বলে, সুমেধা দি আমার একটা উপকার করবে? সুমেধা একটু অবাক হয়ে রিক্তার দিকে তাকিয়ে বলে,হ্যাঁ অবশ্যই, কি হয়েছে তোর আমাকে নির্দ্ধিদায় বলতে পারিস। রিক্তা: তোমার বন্ধু তদ্ভব আমার ফোন ধরছে না, ফোন স্যুইচড অফ করে রেখে দিয়েছে, আমি জাস্ট কিছু ভাবতে পারছি না। সুমেধা (হতচকিত ভাবে): তদ্ভবের ফোন মানে? আমি কিছু বুঝতে পারছি না,তোর সঙ্গে তদ্ভবের দেখা হয়েছিল আবার? রিক্তা: হ্যাঁ, তুমি আসোনি যেদিন একটা কম্পানির ভিসিটে গিয়েছিলাম,স্যার একবার তদ্ভব স্যারেদের কম্পানিতে একটা ডকুমেন্ট দিতে পাঠিয়েছিলেন, আগে থেকেই আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন, তোমায় এই সম্পর্কে বলতে বারণ করেছিল,আমার বেশ ভালো লেগেছিল ওনার ব্যবহার। একটু থেমে, একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল,সেদিন আমরা একসাথে ফিরেছিলাম, তারপর বার দুয়েক একসাথে হোটেলে দেখা করি,তদ্ভব বলেছিল, এখানে থেকে ফিরে যোগাযোগ করবে,ওর মায়ের সঙ্গে কথা বলাবে আমায়, কিন্তু এখন ওর ফোন পাচ্ছি না।আমায় ব্লক করেছে কি বুঝতে পারছি না। রিক্তার চোখে জল এসে যায়,গলা ধরে যায়।সুমেধা: কি বলছিস এইসব,তদ্ভব বিবাহিত, আমাকে ওর স্ত্রীর ছবি দেখিয়েছে..…তুই,তুই আমার ছোট বোনের মতো, আমার কলেজের বন্ধু যেহেতু তুই একবার আমাকে যদি জানাতিস, আমি তোর খারাপ চাইতাম কখনো!! পরক্ষণেই রিক্তার দিকে স্থির ভাবে তাকিয়ে বলে তুই কতটা এগিয়েছিস? মানে তোদের সম্পর্ক কি শুধুই মানসিক না আরো বেশি কিছু? কান্নায় ভেঙে পড়ে রিক্তা…