চাহিদা পূরণ – পর্ব ২১
অফিসের জন্য রওনা দেয় সুমেধা, রাস্তায় খুব সুন্দর ফুলের গাছ বিক্রি হচ্ছে, ইচ্ছে থাকলেও কেনার উপায় নেই, মনে মনে ভাবে যদি ফেরার সময় দেখতে পায় পছন্দ করে কিনবে, কয়েকটি টব ফাঁকা আছে ওর সাধের বাগানে। ফোনটা বেজে ওঠে,বসের ফোন, একটু চমকে উঠে ফোনটা ধরে সুমেধা বলে, বলুন স্যার অফিসে পৌঁছে যাবো, আধঘন্টার মধ্যে।বস: গতকাল রাতে আমার হাতে একটু চোট হয়েছে, বাড়িতে ফেরার পথে, আজকে অফিস যেতে পারছি না, আপনার টেবিলে কিছু ডকুমেন্ট রাখা আছে,পারলে কমপ্লিট করে নেবেন। সুমেধা: ঠিক আছে স্যার, আমি চেষ্টা করবো কমপ্লিট করতে কিন্তু আপনি ডাক্তার দেখিয়েছেন? বস:হ্যাঁ দেখিয়েছি,আজ এক্সরে করাবো । সুমেধা: ওকে স্যার।
অফিসে পৌঁছে সুমেধা দেখে রিক্তা আসে নি। কিছুক্ষণ পর চরু দা এসে কিছু ফাইল রাখে সুমেধার টেবিলে, সুমেধা চরুকে জিজ্ঞেস করে, গতকাল রিক্তা এসেছিল? চরু দা বলে হ্যাঁ এসেছিলেন।সুবল দা সুমেধা কে বলে অফিসের কাজে দুটো কম্পানিতে যাবে রিক্তা, এখানে আসবে না আজ। সুমেধা ( একটু হেসে): আপনাকে ও তো একসাথে পাঠানো উচিত ছিল,বস ভীষণ বেরসিক।
সুবল: ধুর কি যে বলো সুমেধা, রিক্তা জানতে পারলে রাগ করবে। সুমেধা:যদি বলেন, আমি কথা এগোতে পারি, রিক্তাকে জানাতে পারি। সুবল:এই প্লিজ এই রিক্তাকে কিছু বলো না, কথা বলা বন্ধ করে দেবে। সুমেধা: ওকে। বেশ কিছুটা কাজ এগিয়ে নিয়ে যায় সুমেধা, হঠাৎ মোবাইলে দেবাংশুর ফোন, তোমার একটা পারশেল এসেছে,ওটিপি দাও। সুমেধা: হ্যাঁ, অনলাইনে জোজোর কিছু বই অর্ডার করে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর মায়ের ফোন আসে, সুমেধা ফোনটা রিসিভ করে বলে:হ্যআঁ মা বলো।মা: তোর বাবার প্রেসারটা একটু বেড়েছে,ডাক্তারকে ফোন করতে কতগুলো ব্লাডটেস্ট করে যেতে বলছে,এমনি সেরকম কোনো অসুবিধা নেই, কি করবো বলতো? সুমেধা: না মা, টেস্টগুলো করিয়ে নিয়ে ডাক্তারকে একবার দেখিয়ে নেওয়া ভালো, পরবর্তীতে অসুবিধা হবে না।