ওয়াক্ ! থুঃ থুঃ, ছিঃ–
নাহ্ প্রচন্ড ঘৃণায় বিবমিশায় দু’ দশটা লাথি চড়ে কিস্যুটি হবেনা।
গন্ডারের চামড়া ওইসব দু’ পেয়ে পশুদের এতো সামান্য শাস্তি ! ছ্যা–
কেস করবে? আদালতে যাবে? ভাবছো,বিচার পাবে?
পুলিশ তো একগেলাসের ইয়ার, উল্টে ভাগ বসাবে।
তাহলে? আদালতে যাবে? বাঁধা আইনের দেবীর চোখ !
নগদ নারায়ণের রমরমা ব্যবসাতে গর্বিত ওদের বুক!
লোভের ঘুণপোকা গুলো কুরে কুরে খাচ্ছে সমাজটা।
না,সবাই নয়,কিছু মানুষ আছে ,না থাকার মতন সেটা।
ক্লীবের মতো ল্যাংচে ল্যাংচে চলাটা কি জীবন !
কিন্তু,ওদের ঘরের মেয়ে,বৌর সম্মান বাঁচুক- তাই কি চুপ?
হলফ করে বলতে পারে,কাল পড়বেনা সময়ের কোপ!
ওদের চোখের সামনেই তো অবাধে চলছে ধর্ষণ!
ধিক্ ধিক্ করেও কোন লাভ হবেনা অযথা।
উঠবেনা প্রতিবাদী কন্ঠ,জাগবে না কারো মনে ব্যথা।
এবারে আর কারো দারস্থ নয়।
নয় আর, সুবিচারের প্রত্যাশায় বৃথা কালক্ষয়।
এসো,নারী,এতোদিন পৃথিবী তোমাকে যে রূপে দেখেছে।
যারা , ধৈর্য্য,মায়া,সহনশীলতার প্রতীক বলে জেনেছে।
আর সেই সুযোগে প্রতিদিন রাস্তা,ঘাটে,নিরালা স্থানে,
স্কুলে,কলেজে,হোটেলে,বাসে,ট্রেনে এমনকি শ্মশানে।
বারবার হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিন্নভিন্ন করেছে,
লোলুপ আদিম রিপুর উন্মত্ত আক্রোশে রক্ত ঝরেছে,
যৌনাঙ্গে লোহার রড,বোতল ঢুকিয়ে পৈশাচিক উল্লাস!
এসিডে ঢেলে, সর্বাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করে মিটায়েছে আশ।
এরা সবাই আধুনিক সভ্যতার কলঙ্কিত নরপিশাচ।
এদেরকে যারা জঠরে ধরেছে,শোনো, সেই ভাগ্যহীনার দীর্ঘশ্বাস!
শুধু কি তাই!সম্পর্ক গুলোর ভাঁজে ভাঁজে আজ যৌনতা!
জনক নিজ ঔরসজাতাকে,ভাতৃদ্বিতীয়া ,রাখীবন্ধনের
পবিত্রতায় ও রিপুর আদিমতা।
ওয়াক্ থুঃ থুঃ, ছিঃ ছিঃ– নিপাত যাক্ সম্পর্কের টান।
ওরে নারী আজ একজোটে বল,হয়ে একপ্রাণ।
বৃহন্নলা হয়ে জন্মাক সবাই।
গোটা পৃথিবীটা হোক নপুংসক তাই।
আগুন! আগুন জ্বলুক প্রাণে প্রাণে
ওঠ্ জ্বলে আজ বহ্নিশিখার প্রজ্বলনে
সারাদেহে,মনে দাউ দাউ অপমানের পাহাড়!
সবাই মিলে শপথে আজ করো অঙ্গীকার!!
যাঁরাই এই পৈশাচিক কাজে লিপ্ত,তারা ঘৃণিত।
তাদের জন্যে শুধু একটাই চরম শাস্তি হোক গৃহীত।
তাই,সর্বশেষ প্রতিশোধ চাই ,লিঙ্গটাই কেটে ফেলার!
না থাকবে বাঁশ,না বাজবে মারণ বাঁশরি কোথাও আর।
থাকবেনা পুরুষাঙ্গ, আদিমতা হাত কামড়াবে নিষ্ফলতায়
প্রস্তুত এবারে– তাবৎ নারীজাতি সম্মুখীন পরীক্ষায়।