হুগলির রাধানগর গ্রামে রামমোহন রায়ের জন্ম
২২শে মে ১৭৭২ সালে,
পিতা ছিলেন রামকান্ত মাতা ফুলঠাকুরানী দেবী
নিয়ে উজ্জ্বল তারা ভালে।
ব্রাহ্ম সমাজের অগ্রদূত ব্রাহ্ম সভার প্রতিষ্ঠাতা
‘রাজা’ উপাধিতে বিভূষিত ,
রাজনীতি শিক্ষা ধর্ম জনশাসন ক্ষেত্রে
প্রভাব তাঁর প্রস্ফুটিত।
ইতিহাসবিদ ডাকেন “ভারতীয় রেনেসাঁর জনক”
সমাজধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনে রত,
ধর্মের ক্ষেত্রে যুক্তি ওপ্রভাব ছিল তাঁর স্পষ্ট
দূর করেন অপসংস্কার যত।
হরিহরনন্দ তীর্থস্বামি ও নন্দ কুমারের সহায়তায়
অগাধ পান্ডিত্য ও ব্যুৎপত্তি ভাষায়,
শিখেন সংস্কৃত ইংরেজি ফার্সি ল্যাটিন গ্রীক হিব্রু
গৃহত্যাগ ষোলো বছর বয়সে ভ্রমণের নেশায়।
পুস্তিকা লেখেন সতীদাহ অশাস্ত্রীয় নীতি বহির্গত
“প্রবর্তন ও নিবর্তকের সম্বাদ”,
আইন করে পরবর্তী সহমরণ রীতি নিষিদ্ধ
গেলেন বিলেতে, গোঁড়াদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
বেদান্ত গ্রন্থ প্রকাশ ব্রহ্ম নিষ্ঠ একেশ্বর
উপাসনার পথ দেখান,
আত্মীয় সভা এবার করলেন প্রতিষ্ঠা
পরে ব্রাহ্ম সমাজে রূপ প্রদান।
দ্বিতীয় আকবর রামমোহন কে ‘রাজা’ উপাধি দেন
লুই ফিলিপ দ্বারা সংবর্ধিত,
২৭শে সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ মেনিনজাইটিস রোগে
পরে ‘আনসেন ডেল’ সমাধিতে মন্দির প্রতিষ্ঠিত।
সশ্রদ্ধ প্রণাম জন্মদিনে বাংলার নব জাগরণের জনক
সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন প্রতি,
ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠাতা যুগান্তকারী ব্যক্তিত্ব
রাজা রামমোহন রায় চরণে প্রণতি।