তৃতীয় পর্ব
সকাল সাতটা পনেরো। কাল অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে বলে থানা এখন বিকেলবেলার টাইগার হিল। একটা দামি গাড়ি থেকে নামলেন সঞ্জয় ভাটিয়া। সঙ্গে তাঁর ভাই সুজয়। হনহন করে থানার ভেতর ঢুকে এ পাশ ও পাশে তাকিয়ে দেখতে পেলেন এক জন এস আই চোখ বন্ধ করে বসে আছেন, কাছে পিঠে কেউ নেই।
সুজয় তাঁর সামনে গিয়ে জিজ্ঞেসা করলেন, ‘বড়বাবু কোথায়?’ ‘ঘুমাচ্ছেন।’ চোখ বন্ধ রেখেই জবাব দিলেন এস আই। ‘তাঁকে ডাকুন। বলুন মিস্টার সঞ্জয় ভাটিয়া এসেছেন। খুব জরুরি।’ এস আই চোখ খুললেন। সঞ্জয় ভাটিয়ার নামটা তাঁর জানা। লোকটা টাকার কুমির। নিশ্চয়ই খুব ফেঁসে গেছে, নইলে সাতসকালে থানায় আসত না। মা মুখ তুলে তাকিয়েছেন। নইলে সাতসকালে কপাল খুলবে কেন? মুখে বললেন, ‘বসুন আপনারা।’
সঞ্জয় বসলেন। একটু বিরক্ত হয়েই বসলেন। লোকটা টাকার কুমির ভাবল কেন? টাকার বাঘ বা হাতি ভাবতে কী অসুবিধে হল? ফেঁসে তো গেছি নইলে কোন শালা থানায় আসে। তবে তোমার কপালে কী আছে, তা নির্ভর করবে কী ব্যবহার করছ, তার ওপর।
এস আই কেসটা স্পষ্ট শুনতে পেয়ে হেসে বলল, ‘চা খাবেন?’ ‘আমরা চা খেতে আসিনি। ওসি কে ডাকুন।’ সুজয় বললেন। ‘এখন ডাকলে খুব খচে যাবেন।’ এস আই বললেন, ‘আমাকে বলুন, আমি তো আপনাদের জন্যে আছি।’ সঞ্জয় বললেন, ‘আমার ছেলে সন্তোষ কিডন্যাপ্ড হয়েছে। ছ’টার মধ্যে তাকে ফেরত এনে দিন। আর মিডিয়া যেন টের না পায়।’
‘সে কী? দাঁড়ান, দাঁড়ান, ডায়েরি—।’ ‘নো। কাগজ কলমে কিছু লেখার দরকার নেই। দু’ঘণ্টার মধ্যে ওকে নিয়ে এলে এক পেটি পাবেন। ওকে?’ ‘দাঁড়ান স্যর। কে কিডন্যাপ করেছে?’ সঞ্জয় ভাইয়ের দিকে তাকালেন। সুজয় বললেন, ‘একটি মেয়ে। স্কুলে পড়ায়। সন্তোষের বয়স কুড়ি। তার মানে একুশ হয়নি। মেয়েটা কাল কালীঘাটে গিয়ে ওকে বিয়ে করে নিয়ে গেছে। আমরা লোক পাঠিয়েছিলাম তুলে আনতে, কিন্তু পাড়ার ছেলেরা ঝামেলা করেছে। এখন সবাই ঘুমাচ্ছে, এখনই যান।’
‘কোথায়?’ ‘তিনের বি জে ডি অ্যাভিনিউ। পাইকপাড়া।’ ‘যাচ্চলে! ওটা তো আমাদের এরিয়া নয়।’ এস আই বললেন। সঞ্জয় রেগে গিয়ে ভাইকে বললেন, ‘তোমাকে বলেছিলাম এই সব পাতি থানায় না এসে লালবাজারের কানেকশনকে ট্যাপ করতে ।’
‘কিন্তু এখন লালবাজারের অফিসাররা থুতু ফেলতে ভয় পাচ্ছে, যদি মিডিয়া সেটাকে খইনির থুতু বলে প্রচার করে!’ সুজয় বলতে বলতে দেখতে পেল এক ভদ্রলোক পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি পরে ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন। সুজয় বললেন, ‘গুড মর্নিং, স্যর। ইনি বলছিলেন আপনি ঘুমিয়ে আছেন।’ ‘রাত তিনটে পর্যন্ত ডিউটিতে ছিলাম। টয়লেটে যাওয়ার সময় আপনাদের গলা পেলাম। আমার ঘরে আসুন।’ ওসি বললেন।
ঘরে ঢোকার পর তিনি বললেন, ‘আই অ্যাম সরি, এই পোশাকে!’ সঞ্জয় বললেন, ‘আপনি উইদআউট পোশাকে থাকলেও আমার কিছু অসুবিধে হত না। আমার ছেলে সন্তোষকে একটি মেয়ে কিডন্যাপ করে কাল বিয়ে করেছে। আমি দু’ঘণ্টার মধ্যে ওকে পেতে চাই।’
চেয়ারে বসে চোখ বন্ধ করলেন ওসি। এস আই টাকে এক পেটি এর মধ্যে অফার করেছে। আমি কি লঙ্কা চুষব? সঞ্জয় স্পষ্ট শুনতে পেলেন সেটা। মনে মনে বললেন, তোকে দু’পেটি দেব। ওসি মনে মনে বললেন, ওটা পাঁচ পেটি হোক। যেখান থেকে ধরব সেখানেও তো কিছু খরচ করতে হবে। কেউ কোনও কথা বললেন না। সঞ্জয় হাত বাড়িয়ে দিলেন। ওসি হাত মিলিয়ে চিৎকার করলেন, ‘দত্ত।’ এস আই ছুটে এল, ‘স্যর।’
‘যে ঠিকানা ওরা দিয়েছেন সেখানে গিয়ে সন্তোষকে বলবে ওর বাবার অবস্থা খুব খারাপ। নার্সিং হোমে আছেন। শেষ দেখা দেখতে চান। ম্যানেজ করে জিপে বসিয়ে সোজা ওঁর বাড়ি চলে যাবে। হ্যাণ্ডওভার করে দিলে উনি একটা খাম দেবেন। নিয়ে চলে আসবে।’ ওসি আদেশ দিলেন।
‘স্যর, খাম একটা না দুটো?’ এস আই মিনমিন করে জিজ্ঞাসা করলেন। সঞ্জয় বললেন, ‘দুটো। কিন্তু কণ্ডিশন একটাই। মিডিয়া যেন এ সব কথা জানতে না পারে।’ দুই ভাই বেরিয়ে গেলেন। এস আই বললেন, ‘স্যর, লালবাজার কি সব সময় আমাদের জন্যে কিছু রাখে?’ ‘জলদি যাও। সময় মাত্র দু’ঘণ্টা।’
সকাল দশটার মধ্যে কলকাতা শহরের চেহারাটা বদলে গেল। সবাই সবার মনের কথা বুঝে ফেলছে। ফেলে প্রথমে মৃদু ঝগড়া, গালাগাল, শেষে হাতাহাতি শুরু হয়ে গেল। এক ভদ্রলোক তার স্ত্রীকে নিয়ে শেষ সময়ে পুজোর শাড়ি কিনতে ঢুকেছিলেন দোকানে। স্ত্রীর যে শাড়ি পছন্দ হল স্বামী সেটি না নিতে বললেন বেশি দামের জন্যে। স্ত্রী মুখ ভারী হল। ঠোঁট টিপে বললেন, আমার বেলায় কিপ্টেমি আর নিজের বোনেদের দেওয়ার সময় দাতা কর্ণ।’
স্বামী স্পষ্ট শুনতে পেয়ে মাথা নাড়লেন, ‘তুমি একটা হিংসুক মেয়েছেলে।’ ‘আমি হিংসুক। ঘুষের টাকায় মাতব্বর হয়েছ। ছিঃ।’ দোকানদার বলল, ‘কত ঘুষ নেন দাদা?’ ‘তার মানে?’ লোকটি ক্ষেপে গেল। ‘এই যে বউদি মনে মনে ভাবলেন আপনি ঘুষের টাকায় মাতব্বর।’
শোনামাত্র হাত চালাল লোকটা। দোকানদার ছিটকে পড়তেই তার সহকর্মীরা ছুটে এল। মারপিট শুরু হয়ে গেল। দোকান থেকে বেরিয়ে এসে লোকটা চেঁচাল, ‘দেখুন দেখুন, আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে।’
দোকানের এক কর্মচারী হাসল। ওই তো জলহস্তীর মতো চেহারা, হানিটা হবে কোথায়? ভদ্রমহিলা ছুটে গেলেন তাকে মারতে। কী, আমি জলহস্তী? আশেপাশের কিছু মাস্তান ছেলে এগিয়ে এল। ও পাশে কয়েকটি মেয়ে দল বেঁধে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল। তাদের এক জন ভাবল, ‘এই জন্যে কলকাতার রাস্তায় হেঁটে ঠাকুর দেখা যায় না।’ মাস্তানদের এক জন সেটা শুনে ফেলল মনে মনে, ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল, ‘এই যে, কলকাতার নিন্দে হচ্ছে!’
‘বেশ করেছি। তোমার কী!’ মেয়েটা রুখে দাঁড়াল। এক জন বয়স্ক ভদ্রলোক ভাবলেন, আহা, বাচ্চা হলে কী হবে, মেয়েটার মধ্যে শক্তি আছে প্রতিবাদ করার। সঙ্গে সঙ্গে মাস্তান তার জামার কলার ধরল, ‘মেয়েমানুষের মধ্যে শক্তি দেখতে পাচ্ছ শালা। বুড়ো ভাম, আর কী দেখতে পাচ্ছ!’
এগারোটার মধ্যে কলকাতার রাস্তায় প্রথমে পুলিশ, পরে র্যাফ নামল। কলকাতার মানুষেরা কেউ কাউকে সহ্য করতে পারছে না। যেহেতু র্যাফের সদস্যরা বাংলা বোঝে না, তাই নীরব ভাবনাগুলো শুনতে পেলেও অর্থ বুঝতে পারছিল না। তারা লাঠি চার্জ করে বীরত্ব দেখিয়েও মানুষজনকে শান্ত করতে পারছিল না।
শেষ পর্যন্ত সব ক’টা পুজো প্যাণ্ডেল অবাঙালি র্যাফের হাতে তুলে দেওয়া হল। পাবলিককে ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে দিচ্ছিল না তারা। সন্ধেবেলায় উদ্বোধন হবে। মুরগি-থিমের উদ্যোক্তারা গালে হাত দিয়ে বসেছিল। মুম্বইয়ের সিনেমা আর্টিস্টরা বিকেলের ফ্লাইটে চলে আসবে। তাঁদের এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে নিয়ে যাবে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা। তারাই বিভিন্ন প্যাণ্ডেল আর্টিস্টদের দিয়ে উদ্বোধন করানোর অর্ডার নিয়েছেন। মুরগির জন্যে সময় দেওয়া হয়েছে রাত দশটা।
সেক্রেটারি বললেন, ‘আমি পাগল হয়ে যাব।’ ট্রেজারার বললেন, ‘এটা কী করে হল? কেন আমরা সবাই সবার কথা শুনতে পাচ্ছি? যা ভাবছি, নিঃশব্দে ভাবছি তা ই সামনের মানুষটা জেনে ফেলছে।’ কনভেনর বললেন, ‘আমার বোধহয় ডিভোর্স হয়ে যাবে।’ সেক্রেটারি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কেন?’
‘আজ একটা ফোন এসেছিল। নাম জিজ্ঞাসা করতে বলল শ্যামা। আমার সঙ্গে পড়ত শ্যামাপ্রসাদ। ওকে শ্যামা বলে ডাকতাম। আজ কী হল শ্যামা শোনামাত্র আমার মনে একটি মেয়ের মুখ ভেসে এল, যে রবীন্দ্রনাথের ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্যের শ্যামা করত। আমার সঙ্গে একটু ইয়ে হয়েছিল। সে সব বহু বছর আগের কথা। ফোন রাখতেই বউ যা নয় তাই বলতে লাগল। আমি লম্পট, কামুক, বউকে লুকিয়ে শ্যামার সঙ্গে প্রেম করছি। মাথা ঠিক রাখতে না পেরে আমিও উল্টোপাল্টা বলে ফেললাম। সে চলে গেল বাপের বাড়ি। ডিভোর্স চাইবে বলে গেল। সেই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ’, কনভেনর বললেন।
সেক্রেটারি বললেন, ‘কেউ কোনও দিন শুনেছে যে এক জন আর এক জনের ভাবনা ঠিকঠাক বুঝে ফেলছে? এটা তো ভগবানের ক্ষমতায় ছিল। তাই তাঁকে অন্তর্যামী বলা হয়। তা হলে আমরাও কি অন্তর্যামী হয়ে গেলাম?’ ট্রেজারার হাসলেন, ‘মন্দ না। কেউ কাউকে ফাঁসাতে পারবে না।’ বলে কনভেনরের দিকে তাকালেন, ‘তোমার সঙ্গে একটু আগে যখন দেখা হল তুমি ভাবছিলে সামনের বার ট্রেজারের পোস্টটা যেমন করেই হোক ম্যানেজ করবে। আমি জেনে গেলাম। ফলে সাবধান হয়ে যাচ্ছি।’ ‘তুমি অডিটরকে ম্যানেজ করে তিন লাখ সরাবার কথা ভাবোনি?’ ‘আমি একার জন্যে ভাবিনি। আমাদের তিন জনের জন্যেই ভেবেছি।’ সেক্রেটারি বললেন, ‘প্লিজ, এখন থেকে মনে মনে কেউ কিছু ভেবো না।’
পর্দার আড়ালে যে যার মতো ভঙ্গিতে থেকে শিবানী প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন। কেউ কিছু সামনে এসে ভাবলেই তিনি সেটা বুঝতে পারছেন। সকালে মাইকে যে হিন্দি গান বাজছিল, তা কার্ত্তিক আর সরস্বতী মুখস্থ করে ফেলে সমানে কানের কাছে গেয়ে চলেছে। কিন্তু তিনি কিছুতেই মহাদেবকে তৃতীয় নয়নে দেখতে পাচ্ছেন না। দেখতে চাইলেই চ্যানেল অফ হয়ে যাওয়া টিভি হয়ে যাচ্ছে। ভাবনাতেও পৌঁছতে পারছেন না। এসে অবধি তিনি পৌঁছসংবাদ দিতে পারেননি। অথচ পইপই করে মহাদেবকে বলেছিলেন পৃথিবীতে যাওয়ার পর যাতে তিনি কৈলাসের সব কিছু দেখতে শুনতে পান তার ব্যবস্থা করে দিতে। মহাদেব সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু কথা রাখেননি। এই জন্যেই বলে পুরুষমানুষকে বিশ্বাস করতে নেই।
ও-পাশ থেকে গণেশের ভাবনা ভেসে এল, ‘মিছিমিছি রাগ করছ মা।’ মহিষাসুর ভাবল, ‘ছাড়ো তো। যেখানে এসেছ সেখানকার ভাবনা ভাবো।’ হঠাৎ খেয়াল হল শিবানীর। মহাদেব যে ফুল দিয়েছিলেন তার ঘ্রাণ নেওয়ার আগেই সেটা হাত থেকে পড়ে গিয়েছিল পৃথিবীতে। তিনি গণেশকে ধমক দিতে যাচ্ছিলেন এই সময় সেক্রেটারি পর্দা সরিয়ে ভেতরে ঢুকে শিবানীর সামনে এসে হাত জোড় করে নতমস্তকে দাঁড়ালেন, ‘মা, তুমি রক্ষে করো। তোমার লীলা ছাড়া এটা সম্ভব নয়।’
শিবানী মনে মনে ভাবলেন, ব্যাপারটা কী? সেটা স্পষ্ট শুনতে পেলেন সেক্রেটারি। মা তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন? এ কী সৌভাগ্য তাঁর। সর্বাঙ্গ রোমাঞ্চিত হয়ে গেল। বললেন, ‘মা, আমরা সবাই সবার মনের কথা বুঝতে পেরে যাচ্ছি। অবশ্য সামনাসামনি হলে। যেই চোখের আড়ালে চলে যাচ্ছে, তখন ক্ষমতাটা থাকছে না। এই বুঝে ফেলার জন্যে কলকাতার মানুষেরা এ-ওর বিরুদ্ধে ক্ষেপে যাচ্ছে। মারপিট হচ্ছে। দোকান ভাঙছে। ভয় হচ্ছে, মণ্ডপও ভেঙে দিতে পারে। তুমি তো জানো, খ্রিস্টান বা মুসলমানদের মতো কলকাতার হিন্দুরা ধার্মিক নয়। মণ্ডপ ভাঙতে তাদের হাত কাঁপবে না। তুমি বাঁচাও মা।’
কার্ত্তিক ভাবল, দারুণ ব্যাপার। একে বলে জনযুদ্ধ। ‘অ্যাঁ?’ সেক্রেটারি তাকালেন কার্ত্তিকের দিকে। সন্দেহ হল, তাঁর কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে? নইলে মা, কার্ত্তিকের গলা তিনি শুনতে পাবেন কী করে? জীবনে তো কোনও ভাল কাজ করেননি। নিশ্চয়ই এই গোলমালে তাঁর মাথা খারাপ হয়েছে অথবা পেটে গ্যাস জমেছে। পা টিপে টিপে বেরিয়ে এলেন তিনি পর্দার আড়াল থেকে। ভাবলেন, এই কথা কাউকে বলবেন না। ভাবা মাত্র ট্রেজারার জানতে চাইলেন, ‘কী চেপে যাচ্ছেন! কি বলবেন না?’
‘না তো, কিছু না।’ সেক্রেটারি মাথা নাড়লেন। ‘এইমাত্র আপনি ভাবলেন আর মিথ্যে কথা বলছেন?’ চেঁচামেচি শুরু হয়ে গেল। বেলা বারোটায় শহরে কার্ফু ঘোষণা করা হল। ছ’ঘণ্টার জন্যে। রাস্তাঘাট সুনসান হয়ে গেল কার্ফুর জন্যে। বেলা একটায় মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় বিশেষ মিটিং ডাকলেন। যিনি যে অবস্থাতেই থাকুন, এই জরুরি মিটিংয়ে যোগ দিতে বলা হল। কারণ, শহরের অবস্থা এখন ভয়ঙ্কর।