টুপ টুপ ঝরছে পাতা
পাতা ঝরার শব্দ নিয়ে অন্ধকার হয়
ফির ভোর হয়
কোকিল পাতার আড়াল থেকে
সুর ছন্দের ঢেউ তুলে
ডেকে আনে,আলো ও রোদের আত্মীয় স্বজনদের
আমি তখন সকাল
আমি তখন বারান্দায়
মায়ের বকুল গাছের তলায় বসি
শুধু আশ্রয় নয়,
আশ্চর্য চানের বেলা
এখনো,মা বলে ডাকলেই
ফুলের বৃষ্টি বুকের গভীরে
এ এক অন্যরকম ছবি
যেন ঘরিলু ঈশ্বর
শিকড়ে শিকড়ে আলিঙ্গন
চৈত্রের বিকেল যেন প্রেমের খাতা কলম
ছায়া ছায়া চিএনাট্য
জেনেছি পৃথিবী আমার মা
সংসার মায়ার আগুন
পুড়ে ও পুড়ায়
রোজ রোজ গড়াভাঙ্গা
অসুস্থ আর অসুখ
মা শুধুই সারাজীবন
সম্পর্কের রিপুকরতেন
এখন সওর
শ্বেতপাথরের নিথরদেহ
শরীরে বিদ্যূতের অসংখ্য দাগ
ঠোঁটে মেঘলা মানচিএ
কান্না,যন্ত্রণাকাতর দুটি চোখ
অশ্রুস্রোতে ডুবে আর ওঠে
তালপাতার চাটাই টেনে
মা শুনতেন রবি ঠাকুরের গান
এখন মা নেই
আমাদের ভাঙচোরা দেয়াল
ভিতর ঘর যতটা বলা যায়
প্রাচীর আর দেয়ালের ঘড়িঘর
মা নেই
আমি লিখতে পারি না
আমি পড়তে পারি না
সময়ের নদী জলে ভাসিয়ে দিই
কত বলা
কতক না বলা
ক্যানভাসের চোখে জল
যন্ত্রণার প্রচ্ছদগুলি পড়ার টেবিলে পায়রার মতো উড়া উড়ি করে
ছাপাখানাতে ছাপা হয়
নীরব, নিশব্দের উপন্যাস
আকাশে মেঘের শহর
আমি আকাশের নীল খামে
একটি নদী,কয়েক টুকরো আগুন
চিতা ভস্মের আধপুড়া আত্মা
নিয়ে বসে আছি
পৃথিবীর ডাকে পাঠাবো বলে
বোন দীপালি ভালো নেই
সেও কবিতা লেখে
নন্দিতা দূঃখের বাগান
কুয়াশার ফুল তুলে খোঁপা সাজায়
কোনো একদিন চোর আসে
চুরি করে নিয়ে যায় যত্নের স্বপ্ন
জমানো সময় আর কবিতার কাগজপত্র
সেই পাখির ডাক নেই
শূন্য পড়ে আছে খাঁচা
তোমারা আমার জন্য
কয়েকটা পথ এঁকে পঠিও
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হই
দুচোখে এঁকে দিও ঘুমের কাজল