মনের ভেতর মেঘ জমে
একটা খোঁড়া পায়ের ঝড় বয়,
ঘরহারা পাখিটা সুর ধরে,
‘সব ডাল’ই ঘর নয়’।
সাফেদ পালকের গায়ে
অচ্ছুৎ কালো কালি লেগে,
গা ঝেরে হতাশ পাখিটি বলে যায়,
কান্নায় কি আর সব কলঙ্ক ধোয়া যায়?
সব নিঃশ্বাস কি প্রশ্বাস হয়ে,
বিশ্বাস রেখে আসে ফিরে?
কিছু পালতোলা বুঝি এভাবেই হারিয়ে যায়
অবুঝ ঝড়ের অন্তরীপে?
বৃষ্টিতে ভিজে চলে বৃষ্টিধোয়া রাত
ঘরহারা পাখিটার আজ ভীষণ জ্বর,
আর পিছুটান নেই কোনো
নেই কোনো রূপকথার আড়ম্বর।
শান্তঘুম, বরফ, সমাধি
আর রজনীগন্ধা অতঃপর।
তবু বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটায়
যেন কার চিৎকার শুনতে পায়,
বৃষ্টি যেন ককিয়ে কাঁদে,
আর বলে এই বৃষ্টি ভেজা রাতে
তোমাকে চাই, শুধু তোমাকে চাই।
কবিতার বুকে দুঃখ রেখে
যেমন কবিরা ঘুমিয়ে যায়,
কিংবা বিষ্ণুর অনন্ত শয়নের মতো
আশ্রয়ে; তোমাকে চাই, শুধু তোমাকে।
কিন্তু আমি তো চির ইতি চেয়েছিলাম,
তিলে তিলে গড়ে উঠা খুব গোপন
এই ছোটো গল্পর,
কারণ সোজা শিড়দাঁড়া আমার
বেহায়া হৃদয়কে মেরেছিল কয়েকশো থাপ্পড়।
তাই আমি খুঁজতে গিয়ে, ডাকতে গিয়ে,
আকাশের মোহে ফিরে আসি চৌপর,
শান্তঘুম, বরফ, সমাধি,
আর রজনীগন্ধা অতঃপর।