পড়ল যে বেলা,আমি যে একেলা
ছড়িয়ে এ কেশরাশি,
শুভ্র “বেলি” র সুগন্ধ কেড়ে
হলাম আজি পরবাসী ।
স্বপনে সাজাই সোহাগ-মহল
ভাঙি সে যে জেগে,শরমে,
গোলাপ কুঁড়ি তে এসেছে যে লাল,
বুকে বাঁধি তারে আরামে…
জীবন-আঙিনা হল রাঙা আজি
এল যে গোধূলিবেলা,
কত ফুলে ভরে,রং খেলা করে,
করে লুকোচুরি খেলা।
মনে আসে ভেসে গভীর পিয়াসে
পুরানো স্বপন-তরী,
তেরো বর্ষীয়া অবোধ কিশোরী
নিয়েছিল সিঁথি ভরি।
দুহাতে কাঁকন বেজেছিল সুরে
ছিল না তো কোনো ছন্দ,
লালের ছটায়,শাড়ির ভাঁজেতে
লেগে যেত যেন ধন্দ…
কোথা ছিলে তুমি চিরসখা মোর
শতক যোজন দূর,
পারিনি চিনতে ওই মায়া আঁখি
কানে ভাসেনি সে সুর…
বিশ বরষেতে পা রাখি শেষে
বুকেতে দামামা বাজে,
সিঁদুর-সোহাগ-প্রণয় সানাই
নব সুরে যেন সাজে।
শুধু তুমি দূরে.অজ্ঞাত সুরে
পাঠাই হৃদের আকুতি,
শুনবে যেদিন, হৃদে মর্মরি
পাবে প্রাণ এই কপোতী…