সবুজ বনবিথীর তলে, স্বর্ণচাঁপা ফুল গাছটি ,ভালোবেসেছিলো পাতাঝরা ঘন জঙ্গলের সুদীর্ঘ সবুজ বট বৃক্ষকে।
সবুজ পাতায় ঠিকরে পড়া চাঁদের জোছনায় বেঁধেছিল ওরা অদৃশ্য এক আলোক সেতুবন্ধন।
প্রতিদানে কেউ কিছুই চায় না। ফুলের সংসার আছে, সন্তান আছে, কর্তব্য আছে, কতো কাজ,আরো আছে কতো কি?
তবুও তাদের নেই নির্দিষ্ট কোন ভালো বাসার দিন। প্রতিটি দিন একে অপরের ভালো চাওয়ার দিন। ভালো তে রাখার দিন।
এমন করেই বহু দিন, বহু বছর, বহু শতাব্দী পেরিয়ে যায,দেখা হয় না কখনো। হঠাৎ যদিও দেখা হয,কথা হয় না কখনো।
চোখের ভাষায় বট বৃক্ষ ফুল কে বলে ভালো থেকো।অপলক দৃষ্টি মেলে ফুলগাছ মৃদু স্বরে বলে ভালো তে রেখো।
বটবৃক্ষও ব্যস্ত তার সংসার জীবনে। তারও দ্বায়িত্ব আছে, পরিবার সন্তান সন্ততি আছে। কতো নাম না জানা পাখি, অজানা ক্লান্ত পথিক নিত্য আশ্রয় নেয় তার বুকে।
সেও ব্যস্ত রোজনামচায় এই জীবন সংগ্রামে। তবুও কোন এক বৃষ্টি ভেজা শ্রাবণ সন্ধ্যায় কিংবা মধুমাসে ধরার বুকে যখন আগুন রাঙা ফাগুন নেমে আসে, সবুজ বটবৃক্ষটির তার প্রিয়ার কথা মনে পড়ে।
বুক ফাটে, মন হয় উদাসীন। ফুল গাছটিরও বুক পুড়ে যায়,সুদীর্ঘ বটবৃক্ষের কথা মনে পড়ে.. মন হয় আনমনা।
তখন মায়াবী সন্ধ্যায় দূরে বহুদূরে দিকচক্রাবালে হতে ভেসে আসে বটবৃক্ষের মেঘমন্দ্র স্বরধ্বনি ভালো থেকো… ফুল গাছটিও মৃদু হেসে অপলক দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে থাকে,বলে ভালো তে রেখো প্রিয়।