আর কতকাল অপেক্ষায় থাকব বল রাণী,
এ কবির মন জানো সেই কবে থেকে যেন হল রাহাজানি।
বৈশাখের কোনো এক উন্মত্ত ঝড়ে হার মানি,
কোথা যে হারাল সেই জীবনের কবিতা খানি আমি তার কতটুকু জানি।
তুমি আর যাই বল রাণী, আমার কবিতাখানি,
সযতনে বুকে চেপে রেখেছিনু আমি।
সে যে এই প্রমত্ত ঝড়ে হার মানি,
কোথায় হারিয়ে যাবে সেতো আমি কখনো ভাবিনি।
তুমি এসেছিলে শুভক্ষণে চৈতী চাঁদের দোলা লেগেছিল মনে,
প্রাণপনে রেখেছিনু তারে সযতনে মোর ভাঙা দেউলের কোণে।
এতো দিন পরে কি এক প্রমত্ত ঝড়ে হারালো আবাস খানি,
শূন্য করে রেখে গেলো ভগ্ন সে দেউলের মায়াকোন খানি।
তবুও আবার আমি শূন্য হতে আজও শুধু গণি,
হিসাবের খেলাঘরে আঁকিবুকি কাটি তাই সবই শূন্য মানি।
তুমি বুঝিলেনা তাহা আমিও খুঁজেছি যাহা
বেশী নয় সাড়ে তিন হাত মাত্র জমি!!!
সেটুকু পাওয়ার কাজে কতকিছু বুকে বাজে
অট্টহাস্যে কেহ মজে টানাটানি অপমান করে কত জনই!!
জেনে রেখো কিছু মনে করিনিতো আমি।
তোমার আবেশ মনে কত শান্তি বয়ে আনে
আমি তার বেশী নয় কণামাত্র জানি।
সেদিন আসিবে কাছে দয়া ধর্ম কর্ম মাঝে
তোমারই যে স্পর্শ আছে সেই ধন্য মানি।
কি আর বলিব বলো কত দিক সামলাবো
বস্ত্রহীন হয়ে সেই এসেছিতো জানি।
আবার ফিরিব যবে সন্ধ্যারবি নাহি রবে
হৃদয় দেবতা রবে সে ভরসা মানি।
চলে যাবো তরী বেয়ে তুমি রবে পথ চেয়ে,
আবার আসিব ফিরে সেই ধন্য মানি।
আবার জনম লবো কালরাত্রি পোহাইব,
তোমার আশিসে সূর্য উঠিবে আপনি।
জীবন জোয়ার কাজে ঝড় তুফানের মাঝে,
সপ্তডিঙা বেয়ে পারে চলে যাব জানি।
তুমি আছো বন্ধু মোর জানি তব স্নেহডোর
আছে তাই খেয়া বাই এ ভব সাগরে একা আমি।
দিন নয় রাত নয় অনন্ত সময় যায়
প্রেম ভালোবাসা মায়া কেবলই জড়ায়
তারই মাঝে হে জননী খেয়া বেয়ে যাই আমি
অনন্ত মায়ায় ডোরে বাঁধা পড়ি জানি
হে জীবন স্বামী জানি হাল ধরে থাকো তুমি
এ ভবসাগর মাঝে ভয় শূন্য সব কাজে
জীবনের খেয়া বেয়ে চলে যাবো আমি।।