শহর তোমার রাজপথে,অলিগলিতে খুঁজে ফেরে মাথা কুটে—
সেই শিশুটি আজও অপেক্ষায় মা’র,দুটো ভাত পড়ে নি পেটে।
গ্রামের মেঠো গন্ধ তখনও যায় নি গায়ের থেকে,
রুক্ষ চুল,আদুর গা,খালিপেট,মা ফেলে গেছে একলা কাজে।
পাশের ঘরের ননী দিদি ঠোঙায় মুড়ি আর বাতাসা অবশ্য দিয়েছিল ভালোবেসে—
কিন্তু ,মা, ছেলে যে তোমার বিষম খায় গ্রাসে গ্রাসে,
বস্তির কলে জল খেতে যায় অবোধ শিশু,
তাড়া খায় বজ্জাত মায়ের বেজাত ছেলে!
অস্ফুটে নাম লেখায় পাড়ার লালী ভুলোর দলে।
দিন যায় মন্দাস্রোতে,
একরাশ অভিমান আর উৎকন্ঠা নিয়ে সারাদিনের পরে ঘরে ফেরে ছেলেটি,
মা ফেরেনি আজও—
সময়ের পালে ভর করে বসন্তও উঁকি দিয়েছিল জীবনে,
নামের পাশে বেজন্মা খেতাব দিয়ে সরে গেছে সে ও।
অফিসের ব্যস্ততম বাবুটি নিজের নামের নীচে পিতার নাম লিখতে খুঁজে ফেরে আজও তার মা’কে—
মায়ের আঁচলের গন্ধই যে তার অনুঘটক।।