আজ তুমি আর কিশোরী নও
মহীরুহ সম উদ্ধত যৌবনা ;
শেকড় ছড়ানো অতলে
শুষে নেওয়ার আকন্ঠ লিপ্সা
এদিকে জীবনে পড়েছে চড়া
ধূ ধূ বালি.. নিরস বাসনা
উঁকি মারে…
দেখে লজ্জা পাই তোমাকে
চিনতে ভুল হয় ;
মৌচাক বেড়েছে চোখের আড়ালে
পঙ্গপালের উৎপাত …
তাই আধার একেবারে শূন্য।
ছকে বাঁধা জীবনে আর নেই আমি
ডাকিনা সুর তুলে ” এসো প্রেম
দুজনার হৃদয় ভরে তোলো চাঁদের জোছনার
রঙে রাঙিয়ে নিশীথ ফুল সম…”
আজ ভালোবাসা বজ্রের ন্যায় কঠোর
রক্তই ঝরায় শুধু,ঝরায় না বকুল বীথির স্নিগ্ধতা ।
তুমি বড় বেড়ে গেছো
সুন্দরী হয়েছো আরো,
তাই তুমি আজ দুরন্তপনায়
ছুটে চলো চারদিকে–
আমি মুখ লুকায়ে রাখি
পাছে ধরা পড়ি।
আর্ট ফিল্মের অপেক্ষিত ধূসর জীবনগুলো
এসে ঘিরে ধরে
উপেক্ষিতে পারিনি তাদের ।
রৌদ্রে ভাজা বৃষ্টিতে ভেজা
অবহেলিত মিছিল কঙ্কালের সারি,
রুদ্র আকাশ বাতাস ,
দেবতার ক্রুদ্ধ মেজাজ তাড়া করে…
দেখে লজ্জা পাই
শিশু কাঁদে…
ফুরিয়েছে ক্ষুদ কাল,
উনুনে পড়েনি আঁচ
দুপুর গড়িয়ে আজ বিকাল
শূ্ন্য বোতল হাতে জননী দাঁড়ায়ে
করুণ আঁখি জলের ফোয়ারা ঝরায়;
শুধু নি:শব্দে কপোল গড়ায়।
তাই তোমার রক্ত ঝরানো
পরিচিত সেই কোমল হাতের গোলাপ
এ শক্ত হাতে ধরতে পারিনি ।
গোলাপের পাপড়ি বড় নরম..
অপরিচিত ক্ষুধার পাহাড়টাকে আঁকড়ে ধরে
আমার ছোটার চেষ্টা
সময় সংকীর্ণ ,আমি চলেছি
কিন্তু তোমার এ ক্ষুদ্র প্রেম এ জীবনে
পাসরিতে পারিনি,
ও মোর প্রেরণা হয়ে রইল।