অবাঞ্ছিত আগাছার মত মনের অজান্তেই মাথা তুলি ভরপুর বাগিচায়-
এখানে দৃঢ় হাতে চলছে আগাছা দমন পর্ব।
আমার বিনাশ অবশ্যম্ভাবী জেনেও কি প্রভূত সাহস সংগ্রহ করে রোজ বেড়ে উঠি-
তরুবরেরা ফুলে ফলে সমৃদ্ধ করে বনানী
প্রজাপতি মধুপের স্পর্শে নিষিক্ত হয় ফুলেরা-
বনানী মেতে ওঠে নবাবের উৎসবে!
আমার বিনাশ অবশ্যম্ভাবী জেনেও কি প্রভূত সাহস সংগ্রহ করে রোজ বেড়ে উঠি-
নিশুতি রাতে জোনাকির আলোয় সেজে ওঠে তরুবরেরা
তারার হাসি গায়ে মেখে ডানা ঝাঁপটে উড়ে যায় নিশাচর পরিযায়ীদের দল-
মাটির বুক ঘেঁষে ঘুমিয়ে থাকা বীজের শরীরে বেজে ওঠে নবজীবনের গান।
আমার বিনাশ অবশ্যম্ভাবী জেনেও কি প্রভূত সাহস সংগ্রহ করে রোজ বেড়ে উঠি-
মরবো ঠিকই-
বর্ষার উন্মাদনায় আর সময়ের পরিহাসে আবারও জন্ম নেবো।
বসুন্ধরার সহস্র কোটি বাগিচায় এইভাবে অনুরণিত হয় আমার জীবনবৃত্তান্ত-
চতুর্দিকে দৃঢ় হাতে চলছে আগাছা দমন পর্ব-
তারই মাঝে টিকে আছে কিছু ক্ষনস্থায়ী স্পন্দন।