ঐ কালো মেয়েটা,
ভালোবেসেছিল কাউকে,
তার চোখে স্বপ্ন নিয়ে লাল টুকটুকে বৌ হয়েছিল,
সবকিছু ঠিকঠাক ছিল বাইরে থেকে,
অর্থ, আভিজাত্য বোধ হয় স্বস্তি দেয়না,
তাই তো প্রথমদিন থেকেই হোঁচট খেতে হয়েছিল।
শ্বশুরবাড়ির সম্ভ্রম রাখতে হজম করতে হয়েছিল সেই বিষ নজরকে।
হয়তো ভুল, হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, হয়তো বুড়ো শ্বশুরকে কষ্ট দিতে চায়নি মেয়েটা,
খুশীর মিথ্য চাদরে অপমানটা ঢাকতে চাইত।
আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বান্ধব, পাড়া প্রতিবেশী সবার কাছে লক্ষ্মীমন্ত বৌ ছিল মেয়েটা।
দিন যায়,
আদিম কড়ালগ্রাস আচ্ছাদন করতে চায় মেয়েটাকে,
বারে বারে ব্যর্থ।
সকলের ভালোবাসার উষ্ণতা ছাড়িয়ে
বর্বরতার শীতল থাবা স্পর্শ করতে পারেনা।
উন্মত্ত বর্বরতা এবার ছলনার আশ্রয় নেয়।
তখনও লক্ষ্মীমন্ত ছিল মেয়েটা।
অকথ্য প্রচার নীরবে সহ্য করতো মেয়েটা,
ঘর ভাঙতে চাইল,
তবু চুপ মেয়েটা।
শ্বশুরের মৃত্যু,
স্নেহের চাদর সরে গেল,
বুঝে নিল এবার লড়াইটা আরও কঠিন,
তবু চুপ ছিল মেয়েটা।
কারণ তখনও পরিবারের লক্ষ্মীমন্ত বৌ ছিল মেয়েটা।
এবার মুখ খুলল মেয়েটা,
যখন শ্বশুরের মৃত্যু নিয়ে ব্যবসা করছে,
যখন স্বামীর সম্মানে আঘাত হানছে,
যখন তার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে নির্যাতন করছে,
যখন তার বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে,
আজ আর লক্ষ্মীমন্ত বৌ নয় মেয়েটা,
আজ সে কূলোটা…