কালের বাঁশি কণ্ঠে তব সেই দরদীয়া গান
মাটির সুরে মিলায় যেথা সহ্রস্র কটি প্রাণ ।
দিনের আলো পূবালী রাগে তোমার সুরের আগুন খেলা
তোমার আলোয় আঁধার টুটে শতেক মশাল অনিমেশ জ্বালা।
রাখালের বাঁশিতে কণ্ঠে দোলে উদাস করা সুর
চাষীর হাতে কাস্তে ওঠে , সোনালী ফসল ভরপুর ।
তোমার —
বজ্রকণ্ঠ ধ্বনিত হয় মহাকালের কল্ললে
বীরের পূজারী তুমি যে বীর জানি তা সক্কলে
আল্লা ঈশ্বর এক করেছো কৃষ্ট খৃষ্ট এক
দোজখের মুখে ফুটিয়ে তোলো জান্নাতের পারিজাত
পথহাদের ধ্রুবতারা তুমি , সঠিক পথের দিশারী
তোমার গানে প্লাবিত হয় দারুচিনির সে নারী
আল্লাহ রসুল, পীর পয়গম্বর — তুমি যে তাদের দান ।
তুমি যে মোদের কাণ্ডারী কবি যখন জোয়ারে ধরি গান ।
যতই লিখি তোমার কথা কম পড়ে যায় কলমে
তুমি ভারতের ভাগ্য ত্রাতা , শুভ্র নিদান অমলে ।