জানে না কেউ
কে কখন শূন্য হয়ে যায়, একা
বট গাছটাও না, শেষ তারাটাও
আশ্রয় পলে পলে শেষ নদীটার কাছে যায় কথা বলে
একান্ত সংলাপ, নিস্তব্ধ জোয়ার ভাটা
একদিন কত কথা ছিল, ছিল সঙ্গোপন
আজ কড়ি চায় শূন্য আঁচল শূন্য খোঁপায়
কত বকশিশ দিয়েছি, আজ দেবে না পাড়ি
কাঠঠোকরার ঘরবাড়ি
গোপন দৈত্যটা শুয়ে ছিল
উচ্চতা দিতে দিতে অজান্তে ডুবে গেছি দেখিনি কখনো
এখন আঁচল নেই,
বলে কড়ি দে হারামজাদি
কাঠঠোকরার ঘরবাড়ি
এতো সৃজনেও ভেঙ্গে পড়ে সব
শব্দহীন আসবাব বলে
জমবে পারলৌকিক ক্রিয়াকাজ ঐ পথে আর একটু দে পাড়ি
সব জরি ঝরে গেছে সুতো শুধু আঁকড়ায়
কত শব্দ ছিল তোর বেনারসি
কাক ডাকে বিষণ্ণ বিকেল পাশে
এখন ভেবে করবি কি, অভ্যাস যদি পুরনো হয়ে যায়
সেই তো স্মৃতি-জলসা দিন-রাতি
ঝুলে থাক
দৈত্যটা ডাকবে না আর, ভাল থাক
শেষ বিকেল এখন শুধু করতাল