বরটা আমার শয্যাশায়ী
ওষুধ পথ্যি মেলা,
ঘরে আছে ছেলেমেয়ে
উপুস কাটে বেলা।
বাধ্য হয়ে লোকের বাড়ি
কাজটা নিলাম আমি,
পেটে ভাতে বাঁচবে সবাই
জীবন বড়ো দামী।
প্রথম দিনে বাড়ির গিন্নি
বলে দিলেন সোজা,
বাসন মাজা, ঝাড়াপোছা
নেইকো কাজের বোঝা।
সকাল সাতটায় কাজে আসি
কাজের বোঝা রাশি,
দুহাত চলে সমান তালে
আমি হলাম দাসী।
উঠোন ঝাড়ু মাছ কাটাও
লেগেই আছে নিত্য,
তবুও দেখি খুঁত ধরা বাই
তুষ্ট হয়না চিত্ত।
বালতি বালতি কাপড় কাচি
কাঁচা সব্জি কুটি,
ক্ষুধার পেটে ছুঁচোর কেত্তন
দেয়না দুটো রুটি।
সোয়ামী মোর জ্বরে কাবু
আসতে হলো দেরী,
চিল- চিৎকারে গিন্নি ঠাকরুণ
কথা শোনায় ঢেরী ।
বিগড়ে মেজাজ বলেই ফেলি
সোয়ামী পুড়ে জ্বরে,
ছেলেমেয়ে কিইবা বোঝে
আসবো কেমন করে?
পাশের বাড়ির মোক্ষদাকে
দেখতে এলুম বলে,
কামাই করলে গরিবের কি
জীবন খানা চলে?
পেত্থম বলে রেখে ছিলেন
ধোয়া পোছা ঝাড়া ,
তারপরে তো দেখতে পেলুম
কাজের নেইকো পারা।
তারপরেও কি একটু আমায়
বসতে তোমরা দেবে?
মালিশ করা পা- টেপানোর
কাজটা করে নেবে।
ঘরে স্বামী ছেলে মেয়ে
ক্ষুধার পেটে থাকে,
আমি গেলে পাবে খেতে
আশা মনে রাখে।
বলছি আজকে গিন্নিমা তাই
কাজ করেই তো চলে,
সকাল এলে বিকেল যাবো
রাখছি আর্জি বলে।