আমি এক কাকতাড়ুয়া, পাখি তাড়ানো কাজ আমার
দিগন্ত বিস্তৃত ফসল পাহারা দিই দাঁড়িয়ে জমি মাঝার।
ঝাঁকে ঝাঁকে শালিক,টিয়া, চড়ুই,ছাতারে আরও কত পক্ষী,
সাহস পায়না ক্ষেতে ফসল,দেখে আমায় দাঁড়িয়ে রক্ষি।
রোদে পুড়ে জলে ভিজে আমি ফসল রক্ষা করি,
ক্ষণিকের তরে বিশ্রাম না মেলে সদা জাগ্ৰত প্রহরী।
রাত পোহালে উষার আলোতে মানুষের চলাচল,
দেখে খুশিতে মন হয় আনন্দে উচ্ছল।
প্রখর রোদ্দুরে তপ্ত মাথায় দাঁড়িয়ে থাকি আমি একা,
পশ্চিম আকাশে সূর্য গেলে পাটে দূরে দেখি দীপশিখা।
দিনের কোলাহল সব যায় চলে রাত্রির নেমে এলে,
নিকষ কালো বিস্তৃর্ণ প্রান্তরে ক্ষণিক না বিশ্রাম মেলে।
ঝড় ঝঞ্ঝা দুর্যোগ কত সহে চলি নিত্য নীরবে,
কাকতাড়ুয়ার কষ্টের কথা কেউ কী কখনো ভাবে?
রাতের বেলাতে নিশাচর যত চুপিচুপি আসে জমিতে,
পেচকও কখনো শিকারি হয়ে আসে শিকার ধরিতে।
ঝিল্লির ঝঙ্কারে মুখরিত প্রান্তর নিঃস্তব্ধতা করে ভঙ্গ,
কত নিশাচর আসে যায় ফিরে আমি দেখি সেই রঙ্গ।
শীতের রাতে হিমের পরশে দেহ মোর ভিজে যায়,
কর্তব্য কাজে অটল থেকে তবু দাঁড়িয়ে থাকি ঠায়।
থাকি দাঁড়ায়ে রোদ জল ঝড়ে হিসেবের খাতা শূণ্য,
তবু মনে হয় এ কাজ মন্দ নয় হচ্ছে তো কিছু পূণ্য।