কল্পতরু কল্পনা নয় তিনিই স্বয়ং ভগবান
ভক্তবাঞ্ছাকল্পতরু তিনিই পূর্ণ করে দেন।
কল্পনা নয় সাধন্মার্গের উচ্চতম সে এক স্থান
বিরাজ করেন পরমপ্রভু সাধকরা তা দেখতে পান।
কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে এক জীবনেই সে প্রমাণ
সাধক যখন সাধনমার্গের গভীরেতে ডুবে যান।
চাইলে যদি না পাওয়া যায় তবে কেন বস্তু চান
গভীর ভাবে চাইলে পরে ঈশ্বর ই তা যোগান দেন।
একাগ্রতা মনের শক্তি সাধন বলে পেয়ে যান
হৃদস্পন্দন প্রাণের শক্তি ঈশ্বরের ই অমিয় দান।
নিঃশব্দে আবির্ভাব হন সাধু ঋষি মুনি গণ
কল্পতরু ভগবান কে তারাই কেবল দেখতে পান।
মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন সদা স্বয়ং ভগবান
বাঞ্ছাকল্পতরু নাম ভক্তগণ ই তাকে দেন।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে করে দূরে যান
যেমন কর্ম তেমন ফল হাতেহাতে দেখুন পান।
পয়লা জানুয়ারি সবাই উদ্যানবাটী চলে যান
ওই দিনেতে শ্রীরামকৃষ্ণ কল্পতরু প্রতীম হন।
নির্লোভ আর সরলতায় তিনি মা কে খুঁজে পান
পরমপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ নামে জগৎ খ্যাত হন।
সত্য ত্রেতা দ্বাপরযুগে আসেন ভক্তের ভগবান
শ্রীরামকৃষ্ণ কল্পতরু তিনিই কলির ত্রাতা হন।
কাশীপুরের উদ্যানবাটী এই জগতে খ্যাত নাম
মহোৎসবে সবাই মাতে প্রাণের পুজো তারাই দেন।।