যে চিঠি লিখেছি তোমাকে অনেক রাতে-
সে চিঠির কোনো জবাব পাবো না জানি-
রাত জেগে যত বিরহী চিঠি লেখে-
ধরে নিও এটা সে রকমই পাগলামি।
ঢাকা গুলশান টোরেন্টোতে কি মিল,
পুরী ও কটকে কার ছবি ভেসে ওঠে –
দূরত্ব যদিও আজকাল কিছু নয়-
পিরামিড বাধা মিশরে আটকে থাকে।
দরদী হৃদয় যার থাকে সেও জানে-
গাজা মরুভূমি কাদের রক্তে লাল-
কারা হানাহানি করছে দুনিয়া ময়-
কাদের ব্যথায় তুমি প্রলেপ দেবে।
সামর্থ্য আর ইচ্ছার হলো জয়-
জেনেছি ভুবনে তুমি এক বিস্ময় –
বেঁচে থাকাটাই কতটা জরুরী বলো-
তোমার দুচোখে করুণার ধারা বয়।
আর্তজনের দুপাশে দাঁড়াতে চেয়ে-
নিজহাতে তুমি পৌঁছে দিচ্ছ ত্রাণ-
শিখিয়েছ মাস্ক কিভাবে পরতে হয়-
হাত ধুতে হলে কিভাবে তা ধুতে হয়।
তোমাকে দেখেছি ছুটছো বিশ্বময়-
অবাক চোখেতে চেয়ে দেখি আর ভাবি-
কি করে পারলে হিমালয় বাধা তের নদী পার হতে,
ভাইরাস ভয়ে সকলে যখন গৃহবন্দীই রয়।
তোমাকে কখনো ভয় করেনিকো গ্রাস-
সারা দেশ জুড়ে বিলি করে গেলে ত্রাণ,
এমন দরদী হৃদয় কোথায় পেলে-
বুঝেছি এ সবই বিধাতার মহা দান।
এ চিঠি লিখেছি সাহস যোগাবো বলে-
উত্তর তুমি দাও বা না দিতে চাও-
জেনে রেখো কেউ পাশেই দাঁড়াতে চায়-
হৃদয় পুরের বাঁশি যে শুনেছে প্রিয়।
যা কিছু ভাবনা ভেবেছি এবার থেকে-
চিঠিতে জানাবো সব কথা এলোমেলো –
জীবনটা জানো প্রাণবায়ু পেতে চায়-
কোথায় যে তুমি থাকলে কি এলো গেলো।
তবুও এখন সংবাদে রাখি চোখ-
হয়তো কোথাও ত্রাণ নিয়ে ছুটে যাও-
বিনা ত্রাণে আমি ক্রমশ ধ্বংস হই-
তুমি প্রাণবায়ু হয়ে আসবে কি বলো।
ডাক্তার তুমি জানো অনেক কথাই-
মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাবে কি করে বলো-
ব্যথার পাহাড় জমেছে যে বুকে তার-
প্রাণবায়ু দিয়ে তুমি ই বাঁচাতে পারো।
টরেন্টো কিংবা মিয়ামি যেখানে থাকো-
মেক্সিকো থেকে সিডনি শ্রীক্ষেত্র হোক-
একবার এসে গুলশানে দেখে যেও-
কে ভালোবেসেছে তোমার ওদুটি চোখ।
ইচ্ছা করলে হলিউডে যেতে পারো-
বলিউড থেকে ওলিউড টলিউড-
মিষ্টি হাসিতে আজও কি মুক্তো ঝরে-
কতোদিন হলো তোমাকে দেখিনি বলো।
দূর থেকে নয় হাই হ্যালো বলে দিলে-
বুকের বেদনা তাতে কি কমবে বলো-
একটু পরশ পেতে চায় এ হৃদয় –
কবে দেখা পাবো একবার বলে দিও।
চিঠিতেই তাই বলছি স্পষ্ট করে-
ত্রাণ চায় শুধু আর্তজনেরা নয়-
বিরহী প্রেমিক সেও তো আর্ত হয়-
ঘুম ভাঙানিয়া গান তুমি গেয়ে যেও।।