গোধূলির কামরাঙ্গা সন্ধ্যায় গ্ৰামের মেঠো পথে দীঘির পাড়ে
অপলক চেয়ে বিড় বিড় করে চলা উসকো খুসকো চেহারার লোকটাকে
প্রায়ই চোখে পড়ে।একদিন আমায় ডেকে বললেন, দেখুন একঝাঁক কালো-সাদা
মেঘবলাকা কেমন অভিসারে যাচ্ছে!
ওনার অঙ্গুলি নির্দেশিত আকাশ পানে তাকিয়ে বলি, কোথায় সাদা কালো বলাকা?
ওতো মেঘের দল।গোধূলির হলুদ-গোলাপি আভায় মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে।
বললেন ঐ হলুদ আভায় গোলাপি রঙে, দূর অজানা থেকে প্রেমের কাব্য লেখা হয়
মনের কোলাজে। ক্ষণিক সুখের মুহূর্তরা বন্দি হয়ে পড়ে স্মৃতির ফ্রেমে।
মৃদু স্বরে বললেন, বঁধুয়া অশ্রুসিক্ত হয়ে আছে মরমে। আমি অবাক!
উসকো খুসকো মলিন চেহারার লোকটা বলে কি!এতো মরমী কাব্যরসের কথা।
সবাই একে পাগল বলে, সত্যিই কি পাগল! নির্ঘাত আঘাত পেয়েছেন প্রেমে।
জিজ্ঞাসা করলাম, করেন কি আপনি? বললেন মসিজীবি, কবিতাওয়ালা বলে লোকে,
পাগল আমি সুখের শোকে।বুঝলেন, পিরীত যেখানে বিচ্ছেদ সেখানে।
বিচ্ছেদশূণ্য প্রণয় নাই, কোথাও অবিমিশ্র সুখও নাই।
গোলাপের কাঁটা আছে, চাঁদেও কলঙ্ক আছে।
ব্লু-বার্ড পড়েছেন? বেলজিয়ামের নাটক। তিতিল – মিতিলের নীল পাখি ধরবার
দুঃসাহসিক কাজ।শেষে তারা বুঝতে পারে মানসিক আনন্দই শ্রেষ্ঠ আনন্দ।
আমি সেই আনন্দেই ভাসি।
আমি বিস্মিত নয়নে শুধু চেয়ে রইলাম।