কখন বসন্ত আসে জরাজীর্ণ শীর্ণকায়
ধরণী শরীরে।
বারুদের গন্ধে ভরা পুলওয়ামা-বালাকোটের শ্যামল প্রান্তরে
বসন্ত কেঁদে কেঁদে ফিরে গেছে কখন
কোন্ সে ভোরে!
গঙ্গা-পদ্মার কিংবা কপোতাক্ষ নদীর
এপারে ওপারে,
পাড় ভাঙা ঢেউ খেলে জীবন কিনারে।
আগুন আগুন জ্বালে,
শিমুল পলাশ ডালে
রাঙায় সে বন- উপবন,রাঙায় সে কুমারী-যৌবন!
কাঁটাতারের সীমানা পেরিয়ে
প্রেমের দুরন্ত নদী সীমান্ত মানে না,
মানে না এপার-ওপারের ভেদরেখা!
কবির জীবনে বসন্ত আসুক না আসুক,
কবির কলমে কখন বসন্ত আসে একা,
কবি নিজেই জানে না!
পলাশের মত তার কাব্যোদান ভরে ওঠে
শত শত শব্দ-শতদলে!
কবির কলমে চুপিসারে কখন বসন্ত আসে কবি নিজেই জানে না!