যে প্রকৃতির অনন্ত অতীত জেনেছি
যে প্রকৃতির অনন্ত অতীত পড়েছি
সেই প্রকৃতির খুব কাছে এসে তার অলগ্ন দুঃখ থেকে
দু’হাত পেতে চেয়েছি অকৃপণ ভালোবাসা
চেয়েছি ঋতু পরবের অনাবিল স্পর্শ
এরকম অবর্ণনীয় অনুভূতিগুলোর দুরন্ত দৃশ্য
একে একে আঁকতে চায় কবিতার অক্ষর
এভাবেই পুরনো গল্প ও গানের গায়ে ঠেস দিয়ে
ফিরে তাকায় স্মৃতি-গর্ভ দু’চোখ
যে দু’চোখে জড়িয়ে থাকে দীর্ঘ স্বপ্নের মতো
মুখরিত প্রান্তরের উজ্বল ভোর ও ভৈরবী
নিঃসঙ্গ কবি শব্দ ও নৈঃশব্দ্যে ডুবে থেকেও
আড়ালে সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে
শব্দ ভেদ করে শব্দের কাছেই ফিরে আসে
ফিরে আসে বারবার আত্ম উন্মোচনে
কবিতার অক্ষরেরাও ফিরে আসে
অক্ষরে অক্ষরে ছড়িয়ে পড়ে ধ্বনি ও প্রতিধ্বনি
ও তার অন্তরঙ্গ – অনুসঙ্গ আভাস
জীবনের গৌরব গাথা লেখা হয় জীবনেরই বর্ণমালায়
যে বর্ণমালার দেশে শব্দ ও অক্ষরের চেয়ে
অব্যর্থ ওষধি জীবনে অন্য কিছু নেই আর ।