দেখেছি,মাঝে মাঝেই দেখা যায় দলছুট সাজে
ঝকমকে রঙিন পোশাকে সেজেগুজে
ওরা ট্রেনে চেপে,কখনো বা এপাড়া-ও পাড়া ঘুরে
নেচে গেয়ে,তালি বাজিয়ে রোজগার করে
করুনা করে কেউ হয়তো দেয় দু’ দশ টাকা ছুঁড়ে।
কারো বা চোখে ফুটে তাচ্ছিল্য,ঘৃণা একরাশ
অথচ, ওরাও মানুষ,এক পৃথিবীতেই সবার বাস
ওদের ও ক্ষুধা আছে,আছে দুঃখ ,কষ্ট ,যাতনা
কিন্তু তাতে কি! ওদের কথা তো কেউ ভাবে না!
নিয়তির পরিহাসে ওরা ব্রাত্য সমাজ থেকে
জন্মান্তরে বুঝিবা ব্রহ্মা দিয়েছিলো লেখে
তাই ,ওরা স্বজনহীন,আপনজনহীন গোত্রছাড়া
নিতান্তই ভাগ্যের হাতে পুতুল হয়ে দিশাহারা
ওদের সকলেই এড়িয়ে চলে সযতন প্রয়াসে
ওদের বুকে ব্যথা বাজে তবু মধুর হাসিতে ভাসে
আধুনিক সুসভ্য মানুষ বিবেকহীন তাই করে উপহাস
অথচ ,এই অবহেলিত মানুষের মাঝে তার পূর্ণ প্রকাশ
তাই,কলেজ ফেরত মেয়েটির যখন আচমকা ঋতুমতী
আশপাশের শিক্ষিত চোখ কৌতুকে জলসায় অতি
তবু,কেউ এগিয়ে আসেনা মেয়েটির লজ্জা সংরক্ষণে
ছুটে আসে ওই অবহেলিত ব্রাত্যদের দল তৎপরতা সনে
পালে পার্বনে গান গেয়ে ,নেচে ওদের জুটানো সঞ্চয়
নিমেষে মাত্র ভাবেনা ওরা ,মেয়েটিকে দানে নির্ভয়
উপঢৌকন পাওয়া নতুন কাপড় পলকে ফেলে ছিঁড়ে
মেয়েটির লাজ বাঁচাতে ওরা থাকে সবে তাকে ঘিরে
সুখে ওরা হাসে,দুখেতে কাঁদে আর সবাকার মতো
তবে কেন ওরা ব্রাত্য বলে ছুটছে লাঞ্ছনা যতো?
কবে বদলাবে দৃষ্টিভঙ্গি কবে জাগবে মানবতা
বিধাতা! তুমি দেখো ওদের আর দিও নাকো ব্যথা।