দুইহাতে পুণ্যের পুটুলি বুকে চেপে –
অনর্থক সময়ের অপচয়,
এতদিন যে বাঘের ভয়ে মুখ লুকিয়েছি –
সেই বাঘ এখন শক্তির দেবতা হয়ে-
সাহসিকতা পাঠিয়েছে ঘরের কোণে।
সারা পৃথিবী এখন লাশ গুনছে চোখের জল মুছে,
পথের ধারে মৃতমানুষ পায়না প্রিয় মানুষের ছোঁয়া,
পঁচা,গলা,বিকৃত দেহে গণকবরে শেষ অবস্থান।
এইমাত্র যে হৃদস্পন্ধন স্বস্তি দিচ্ছে,হয়তো কাল সে স্তব্ধ।
এখন তোমরা আমায় কেউ ছুঁয়ো না,
ক্যানসার নয়,এইডস নয়,নয় পক্স নির্মম করোনা।
আমি সাধক নই, নিতান্তই আটপৌরে সংসারী,
দেব দেবীর সাক্ষাৎ পাইনি,এখন এই অতিমারিতে-
ডাক্তার,নার্স,স্বাস্থ্য কর্মী – ঈশ্বররূপে দেখি ত্রাণকারী।
শ্রদ্ধায় অবনত আমার মস্তক, পরমহংসের মতো-
অসুস্থতার বকলমা নিয়ে কোয়ান্টিনে হাজির
এরই মাঝে অশনিসংকেতের শব্দধ্বনি,
অলক্ষ্যে নির্মম হাসিতে ফেটে পরে দূরভিসন্ধিরা,
লুকিয়ে রাখে হাতের পাঞ্জা,বেপরোয়াভাবে আছে দাঁড়িয়ে,
শুনতে কি পাও, লক্ষ লাশের অতৃপ্ত আত্মার আত্মচিৎকার ?
জীবিত,উত্তরাধিকারের কাছেই চাইছি ন্যায়ের প্রতিবিধান।
ঈশ্বরের বাগানের দখল নিতে চায়, যত চিল আর শকুন,
দেবতার পারিজাত বন পরিণত শবের রণাঙ্গনে,
আমি শুনেছি বাজছে ডোমরু, ঘুরছে সুদর্শন,ধেয়ে আসছে বজ্র,
প্রলয় নৃত্যে ত্রিশূল হাতে শূলপানি ,খড়্গ হাতে চামুন্ডা –
এযুদ্ধে কোথায় পালাবি জ্ঞানাসুর , পদানত করবে সময়।