ঈশ্বর এমনিতেই অশুচি !
হিমালয়ের বরফ চেবাচ্ছে মানুষগুলো ,
তাদের খোসায় দূষিত নদীনালা !
দিনভর বিসমিল্লায় মত্ত যে সব গাছ ,
তারাও একটা সময়ে এসে ঘুমিয়ে পড়েছিলো !
বাকিটা আমি জানি !
আমার রোদ্দুর নিকোনো স্তন জুড়ে বর্ষা ,
আর ঈশ্বরের ধাঁরালো নখের আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত রেড রোড !
এসব কিছুই লেখা যায় না !
আমি একশো বছর পুরোনো ঈশ্বরকে দেখেছি কবি হয়ে উঠতে ,
তার গালে টলটলে আফটার۔শেভ ,
তার ঠোঁটে গোল্ড ফ্লেকের উদাসীনতা ,
তার এক চোখে এ বি আনন্দ ,
আর এক চোখে নিউজ টাইম !
এ যাবৎ আমার ছাদের পুঁই ডাঁটা বেয়ে উঠছে ফাঁটা মেঘ ,
তারা শুধু মিছিলে হাঁটবে বলে রোজ ভোটে দাঁড়ায় !
আমি অবশ্য কোনো ট্রাজিক উপন্যাসের নায়িকা নই যে একুশ শতকের মতন ধ্যাবড়া করে কাজল পড়তে হবে ,
আমার ত্বকের বলিরেখাগুলো শুধু বিভাজিকা এঁকে দিয়ে গ্যাছে জানালায় !
তারপরেও আমি শুধু কবিতা লিখি ۔۔۔
জোর করে ঈশ্বরের শরীরের খোসাগুলো চিবিয়ে খাই ,
চোয়া ঢেকুরগুলো চিৎকার করে ওঠে প্রতিরোধের !
তবে ,
আমি একবার অশুচি হবো বলে শুধু একটার পর একটা ময়েশ্চারাইজার বদলে ফেলি ,
তারপর মন্দিরে দাঁড়িয়ে থাকা উলঙ্গ মা কে দেখলে মনে হয় ۔۔۔۔
“আমি তো এমনিতেই নষ্ট !”